আসল টিকার বদলে জাল টিকা, কেমন আছেন অভিনেত্রী

করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র উপায় টিকাকরণ। তাই টিকাকরণের ওপরেই সব চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ভুয়ো টিকা কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য৷ খাস কলকাতায় রমমিয়ে চলছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্র। এবার করোনা টিকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন স্বয়ং যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী সহ কয়েকশো মানুষ। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভুয়ো টিকা কেন্দ্রে দেওয়াই হয়নি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন৷ 

কসবার এক ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে হাজির হয়ে টিকা নিয়েছিলেন মিমি, পরবর্তীতে সাংসদের খটকা লাগায় তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন ওই টিকা ক্যাম্প সম্পূর্ণ জাল। প্রশাসনের দ্বারস্থ হতেই তাঁরই উদ্যোগে ফাঁস টিকা প্রতারণা চক্র। মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ভুয়ো ক্যাম্প থেকে বাজেয়াপ্ত টিকা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেতে অপেক্ষা চার-পাঁচদিনের।

কসবার ডেপুটি সিএমওএইচ রনীতা সেনগুপ্ত বলেন, কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের যে ভায়ালগুলি ব্যবহার করা হয় তার গায়ে ব্যাচ নম্বর থাকে৷ থাকে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপায়ারি ডেট৷ কোন সংস্থার টিকা তাও উল্লেখ থাকে৷ কিন্তু ওই ভুয়ো কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হওয়া টিকায় সে সব কিছুই ছিল না৷ শুধু একটি সবুজ লেবেল এবং তাতে লেখা কোভিশিল্ড ও রিকম্বিন্যান্ড ভ্যাকসিন৷ অর্থাৎ পাউডারের সঙ্গে জল মিশিয়ে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়৷ ভায়ালের আকারও ছোট ছিল৷ করোনার ভ্যাকসিনের বদলে কোনও পাউডারে জল মিশিয়েই ভুয়ো কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়৷ সাধারণত হাম বা বিসিজির ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এমন করা হয়৷

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *