থমকে গেল অভিনেত্রীর জীবন, প্রয়াত স্বাতীলেখা

কয়েক আগেই একাত্তরে পা রেখেছিলেন তিনি। জন্মদিনের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিডনির সমস্যা নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। টানা ২৫ দিন সেখানে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি। ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর। আজ দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ানো সেই অভিনেত্রীর পথ চলা থমকে গেল বুধবার। না ফেরার দেশে চলে গেলেন সত্যজিৎ রায়ের ‘বিমলা’। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়। 

উল্লেখ্য, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রুপোলি পর্দায় স্বাতীলেখার পথ চলা শুরু। সত্যজিতের ‘বিমলা’ হিসেবে জনপ্রিয়তা এসেছিল ভরে ভরে। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি। সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘ঘরে বাইরে’-র মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেই ছবির দৌলতেই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল নারী মুক্তি প্রসঙ্গ।

এরপর বাংলা ছবির দর্শক বহু বছর তাঁকে আর পর্দায় দেখতে পাননি। কিন্তু রূপোলি পর্দার বাইরে তিনি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অন্য এক মঞ্চে। থিয়েটারের মঞ্চে। তবে প্রযোজক-পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধেই ফের একবার বাংলা সিনেমায় প্রত্যাবর্তন ঘটে নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের স্ত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের। শেষবার তাঁকে ‘বেলাশেষে’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। সৌমিত্র-র সঙ্গে একত্রে ‘বেলাশুরু’র কাজও করেছিলেন। কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন দুই তারকা। গত বছর নভেম্বর মাসে মৃত্যু হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার চলে গেলেন স্বাতীলেখাও।

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *