দেশের ২৯টি শহরে পৌঁছেছে আরএলজি ক্লতন টু গ্রীন ক্যাম্পেন

গ্রাহকদের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক্স বর্জ্যের দায়িত্বশীল নিষ্পত্তি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সেগুলির নিরাপদ রিসাইক্লিংয়ের ব্যাপারে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করার লক্ষ্য নিয়ে রিভার্স লজিস্টিকস গ্রুপের (আরএলজি) ফ্ল্যাগশিপ ক্যাম্পেন ‘ক্লিন টু গ্রীন’ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের মে মাসে। এই ক্যাম্পেন চালানো হবে ২০২১-এর মার্চ পর্যন্ত। বিগত ৩ বছরে আরএলজি’র ক্লিন টু গ্রীন ক্যাম্পেন দারুণ সাফল্য পেয়েছে এবং ২৫টি রাজ্য ও ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্কুল, কলেজ, আরডব্লিউএ, অফিস ক্লাস্টার, রিটেলার, বাল্ক কনজিউমার ও ইনফর্মাল সেক্টরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। ভারতজুড়ে মোট ২২১০টি সক্রিয়তা পরিচালনা করে এই ক্যাম্পেন পৌঁছেছে ২২,২১,৪০৬ জন মানুষের কাছে।

২০-২১ অর্থবর্ষে গুয়াহাটিতে ক্লিন টু গ্রীন ক্যাম্পেনের আওতায় এসেছে: পানবাজার হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, প্রাগজ্যোতিষ জাতীয় বিদ্যালয়, গীতা নগর, আদর্শ হিন্দি বিদ্যালয়, রেলওয়ে কলোনি, বিদ্যা মন্দির স্কুল, নারেঙ্গি, পঞ্চদীপ জাতীয় বিদ্যালয়, গনেশ নগর, গুয়াহাটি রিফাইনারি হাই স্কুল, জয়ন্ত নগর, রাজেন্দ্র কলিতা বিদ্যাপীঠ, হেংরাবাড়ি, বোন্দা আঞ্চলিক হাই স্কুল, বোন্দা, নবোদয় জাতীয় বিদ্যালয়, হেংরাবাড়ি, নারেঙ্গি হাই স্কুল, নারেঙ্গি, শঙ্করদেব বিদ্যালয় আইওসি নুনমাটি, গুয়াহাটি, নুনমাটি হাই স্কুল, নুনমাটি, মেট্রোপলিটান গার্লস হাই স্কুল, সরস্বতী হিন্দি এলপি অ্যান্ড এমই স্কুল, এসকে হাজারিকা কলেজ, প্রভিন্স কলেজ, বিবেকানন্দ ভারতী কলেজ, নিউ প্রশান্তি অ্যাপার্টমেন্ট, লাখোটিয়া মার্কেট। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ক্লিন টু গ্রীন ক্যাম্পেন লঞ্চ্‌ হয়েছিল ২০২০ সালের ১৬ মে এবং ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩২৮টি অ্যাক্টিভিটি চালিয়ে ২৯টি শহরের ৫,২৬,৪৩১ জনের কাছে পৌঁছেছে। এরকম চলবে ২০২১-এর মার্চ পর্যন্ত।

ক্লিন টু গ্রীন ক্যাম্পেন প্রসঙ্গে আরএলজি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাধিকা কালিয়া বলেন, বিগত তিন বছরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ক্লিন টু গ্রীন ক্যাম্পেনকে আরও বেশি করে সাধারন মানুষ ও পেশাদারদের কাছে নিয়ে যেতে চাইছেন, যাতে সংশ্লিষ্ট সকলে ইলেক্ট্রনিক্স বর্জ্যের নিষ্পত্তি ও রিসাইক্লিংকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্ব বলে অবহিত হতে পারেন। ক্লিন টু গ্রীন ক্যাম্পেন ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি ও কর্পোরেট সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে ভারতে ই-ওয়েস্টের দায়িত্বশীল উপায়ে নিষ্পত্তি ও রিসাইক্লিং নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলজি মন্ত্রকের ডিরেক্টর ড. সন্দীপ চ্যাটার্জি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *