তৃপ্তি দিমরি। নামটা কেমন যেন অপরিচিত। সাম্প্রতিক আলোচিত, সাড়া জাগানো ভূতের ছবি বুলবুল–এর নাম ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তিনিই তৃপ্তি। সিনেমায় তৃপ্তিকে যেমনটা দেখানো হয়েছে, তিনি নাকি ওই সিনেমার চরিত্র বুলবুলের একেবারে ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত। স্কুলে পড়ার সময় ঘরকুনো ছিলেন, কখনোই কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নাম লেখাননি। মাইক্রোফোন দেখলেই কথা জড়িয়ে যেত যে মেয়েটার, সেই তৃপ্তিই ২০২০ সালে বলিউডের মতো প্রতিযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্মে উঠতি তারকাদের একজন।
কলেজে উঠে বন্ধুদের পরামর্শে মডেলিং শুরু করেছিলেন। সিনেমা ভালোবাসতেন, তবে বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার অত বড় স্বপ্নটাকে লালন করার সাহস করে উঠতে পারেননি। কিন্তু মনের কোথাও না কোথাও ইচ্ছাটা ছিলই। না হলে এতবার বড় পর্দার জন্য অডিশন কেন দেবেন, আর কেন বিফল হয়ে ঘরে ফিরে কাঁদবেন।
সিদ্ধান্ত নিলেন বড় পর্দা নয়, এবার ছোট পর্দার জন্য অডিশন দেওয়া শুরু করবেন। ঠিক তখনই পোস্টার বয় ছবির প্রস্তাব আসে। কিন্তু প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল, এটি তাঁর কর্ম নয়! তারপর লায়লা মজনু ছবিতে অভিনয় করে পেলেন সমালোচকদের প্রশংসা। আর এবার ‘বুলবুল’রূপী তৃপ্তি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিলেন।
বুলবুল মুক্তির পর অনেকে বললেন, ‘তৃপ্তি নাকি একেবারে বাঙালি নারীর মতো দেখতে।’ সে কথা মনে করিয়ে দিতেই তৃপ্তি বললেন, ‘হতে পারে, আমার হৃদয় বাঙালির। ভুল করে ভুল জায়গায় অবাঙালি হয়ে জন্ম নিয়েছি।’