ভিনিল ম্যাথুর হাসিন দিলরুবা

Netflix-এ মুক্তি পেল ভিনিল ম্যাথু পরিচালিত হাসিন দিলরুবা। ছবির মূল চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাপসী পান্নু, ভিকরান্ত ম্যাসি, হর্ষবর্ধন রানেকে।

ছোট শহরের রোজনামচা দিয়েই শুরু হয়েছিল গল্পের প্রেক্ষাপট। বাস্তবের মাটি থেকে একটু উপর দিয়ে হেঁটে পালপ ফিকশনের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন ভিনিল ম্যাথু এবং কণিকা ধিলঁরা। যদিও প্রথম থেকেই অশনি সংকেতের ধ্বনি শোনা যাচ্ছিল। কখন, কোথায়, কীভাবে সাসপেন্সের বোমাটা ফাটবে, তারই অপেক্ষা ছিল শুধু।

নন লিনিয়ার স্ক্রিনপ্লের মাধ্যমে রহস্য রোমাঞ্চ জিইয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। দৃশ্যগত দিক থেকে বিষয়টি মনোগ্রাহী। ভালোবাসা এবং আকাঙ্খার সরণী বেয়ে চরিত্রগুলির পথচলা দেখতে মন্দ লাগবে না।

অন্য ধরনের প্রেম কাহিনীটির প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে গভীর অনুভূতি। ছবির চরিত্রদের মধ্যের খুঁতগুলি যেন তাঁদের আরও জীবন্ত করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ রানির চরিত্রকেই ধরা যাক। সে সাহসী, দাপুটে, হটকে। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের হুমকির মুখেও, সে নিজের অকাট্য যুক্তির বাণ চালায়। আবার সে-ই আবেগপ্রবণ, ক্ষণিকের ভুল করে ফেলে সে-ও।

অবশ্য কণিকার চিত্রনাট্যে সমস্ত নারী চরিত্ররাই কিন্তু একটু আলাদা। মনমরজিয়ার রুমি, কেদারনাথের মুক্কু, জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়ার ববি। এরা সকলেই কিন্তু কেয়ার ফ্রি, দাপুটে, বলিষ্ঠ, নির্দয়। তবে রানির গতিবিধি যেন এই চরিত্রগুলি থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।

চরিত্রটিকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন তাপসী পান্নু। যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন ভিকরান্ত ম্যাসি। দুজনের কেমিস্ট্রি দুর্দান্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শার্টলেস থাকলেও, হর্ষবর্ধন রানে ছবিতে বেশ ভালো। দয়া শংকর পান্ডে, আশিষ ভার্মারাও চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করেছেন নিপুণ দক্ষতায়। ছবির অভিনেতাদের ক্যারিশমাতেই হাসিন দিলরুবা আদতে ‘হাসিন’ হয়ে উঠেছে। Amit Trivedi-র মিউজিক ছবিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *