রিলিজ হয়েছে মুকেশ ছাবরা পরিচালিত ‘দিল বেচারা’-র ট্রেলর। ‘জন্ম মৃত্যু আমাদের হাতে থাকে না। কিন্তু জীবনে কী ভাবে বাঁচব সেটা আমরাই ঠিক করি।’ সিলভার স্ক্রিনে এই ডায়লগ এ বার শোনা যাবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মুখে। তিনি নিজের জীবনেও নিঃসন্দেহে এমনটাই ভাবতেন। নইলে পাটনা থেকে বলিউডে দাপিয়ে বেড়ানোর স্বপ্নটা দেখার সাহস করতেন না। শুধু অভিনয়ের প্যাশনে নামি কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি, উজ্জ্বল ভবিষ্যত হেলায় পিছনে ফেলে অনিশ্চয়তার জীবনে লাফ মারতেন না।
সাম্প্রতিক সময়ে সম্ভবত দর্শকরা কোনও ছবির ট্রেলরের জন্যই এতটা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেননি। অবশেষ সব অপেক্ষার অবসান হয়েছে। আর ‘দিল বেচারা’-র ট্রেলর দিল জিতে নিয়েছে দর্শকমহলের।
প্রায় আড়াই মিনিটের ট্রেলরের সবটা জুড়ে রয়েছেন শুধুই সুশান্ত। এলোমেলো হেয়ার স্টাইল, প্রাণখোলা হাসি, মজার অঙ্গভঙ্গি, সাবলীল ডায়লগ ডেলিভারি—–সবকিছুতেই ভীষণ চেনা সুশান্তকে একদম অন্যরূপে পাওয়া যাবে এই ছবিতে। প্রত্যেকটা সিন বারবার মনে করে দিচ্ছে রূঢ় বাস্তবটা। কঠিন এবং কর্কশ হলেও, ভাবতে না চাইলেও বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে একটাই কথা, ‘এই ছেলেটা আর নেই। মাত্ত্র ৩৪ বছরের ঝকঝকে সুশান্ত এখন শুধুই স্মৃতি বা এই সিনেমার মতোই ফ্রেমবন্দি”
এই ছবির গল্প এখন অনেকেরই জানা। তবে মুকেশ ছাবরার পরিচালনায় আর সুশান্তের নিখুঁত অভিনয়ে ‘ফ্রেন্ড জোন’ শব্দটা এই সিনেমায় নিঃসন্দেহে এক অন্য মাত্রা পাবে। প্রথম ছবি (লিড রোল) হিসেবে সঞ্জনাও বেশ সাবলীল। অনেকদিন পর বলিউডে ফ্রেশ লুকের একজন অভিনেত্রীকে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে। ট্রেলর থেকে অনুমান সুশান্ত-সঞ্জনার অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি এই ছবির অন্যতম ইউএসপি হতে চলেছে। আর রয়েছে এ আর রহমানের সুর, যা চিরকালই মন ছুঁয়ে যায়। সুশান্ত সিং রাজপুত আর সঞ্জনা সাংহি ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন দুই বাঙালি অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
তবে বাকি সব কিছুর সঙ্গে এ কথা ভীষণ ভাবে সত্যি যে ‘দিল বেচারা’ অনেকটা কিজি বসুর গল্প হলেও এর সবটা জুড়েই রয়েছে ম্যানি অর্থাৎ সুশান্ত। তিনি বেঁচে থাকলেও এই একই কথা হয়তো বলতেন তাবড় ফিল্ম ক্রিটিকরা। আর আজ তো সুশান্ত বেঁচেই নেই। তাই দক্ষ অভিনয়ের পাশাপাশি মুকেশ ছাবরার নতুন ছবির অনেকটা জুড়েই থাকবেন ব্যক্তি সুশান্ত আর তাঁর স্মৃতি।