আজ ক্যাটের ৩৭তম জন্মদিন। দেখতে দেখতে জীবনের আরও এক বসন্ত পার করে ফেললেন বলিউডের ‘চিকনি চামেলি’ ক্যাটরিনা কাইফ। দেখতে দেখতে বলিউডেও ১৭ বছর পার করে ফেলেছেন ক্যাটরিনা। ক্যাট শুধু ইন্ডাস্ট্রির আউট সাইডার নন, তিনি ভিন দেশি। সেখান থেকে আজ বলিউডের অন্যতম হাইয়েস্ট পেইড নায়িকা ক্যাটরিনা।
হংকং-এ জন্ম ক্যাটরিনার। তাঁর মা ব্রিটিশ অন্যদিকে বাবা কাশ্মিরী বংশোদ্ভূত হলেও ব্রিটিশ। মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন ক্যাটরিনা। বলিউডে ক্যাটরিনার প্রথম ছবি ছিল বুম। বুমের ব্যর্থতার পর মহেশ ভাট সায়া ছবি থেকে বাদ দেন ক্যাটরিনাকে।
ক্যাটরিনার সুন্দর মুখ আর তন্বী দেহ,মায়াবী হাসি নজর কেড়েছিল ঠিকই,তবে অভিনয় করতে পারেন না,হিন্দিতে কথা বলতে পারেন না-এই অভিযোগগুলো কেরিয়ারের শুরু থেকেই পিছু ছাড়েনি ক্যাটরিনা কাইফের। বলিউড কেরিয়ারের শুরুতেই বড় ধাক্কাও খেয়েছিলেন ক্যাটরিনা। এরপর বলিউড ছেড়ে দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেন এই ব্রিটিশ সুন্দরী। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় ক্যাটরিনার তেলুগু ছবি ‘মল্লিশ্বরী’। এরপরেই সলমন খানের সুনজরে পড়েন ক্যাটরিনা কাইফ। এরপর সলমন খানের ছবি মেয়নে প্যায়ার কিঁউ কিয়াতে লিড রোলে দেখা গিয়েছিল ক্যাটরিনাকে।
ক্যাটরিনার কেরিয়ারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছবি নমস্তে লন্ডন (২০০৭)। অক্ষয়-ক্যাটরিনা জুটির এই ছবি ক্যাটকে বলিউডে সেই অর্থে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল। বলা যায় এটা ক্যাটরিনার ফিল্মি কেরিয়ারের ইউ টার্ন। এরপর অক্ষয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওয়েলকাম (২০০৭), সিং ইজ কিং (২০০৮) এর মতো ছবিতে কাজ করেন ক্যাট। ক্যাটরিনার কেরিয়ারের মাইলস্টোন পরিচালক কবীর খানের নিউ ইয়র্ক (২০০৯)। বক্স অফিসে ক্যাটরিনার শেষ ছবি ছিল ভারত। সলমন খানের সঙ্গে কেরিয়ারের পাঁচ নম্বর। বক্স অফিসে ক্যাটরিনার পরবর্তী রিলিজ হতে চলেছে সূর্যবংশী। রোহিত শেট্টির এই কপ ফিল্মে ফের একবার অক্ষয়-ক্যাটরিনা জুটি। মার্চ মাসেই মুক্তির কথা ছিল এই ছবির। তবে করোনার জেরে মুক্তি পিছিয়েছে। দিওয়ালিতে সূর্যবংশী নিয়ে হাজির হবেন অক্ষয়-ক্যাটরিনা।