দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রিনরশিপ (এমএসডিই) এর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর কৌশল বিকাশ যোজনা (পিএমকেভিওয়াই) ৩.০ এর প্রথম ওয়ার্কশপ আয়োজিত হল সিকিমের গ্যাংটকে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মোট আটটি রাজ্যের স্টেট স্কিল ডেভেলপমেন্ট মিশন (এসএসডিএম) এবং ডিসট্রিক্ট কমিটির (ডিএসসি) আধিকারিকরা ওয়ার্কশপটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
পিএমকেভিওয়াই ৩.০-এর ওয়ার্কশপে বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচির পাশাপাশি যুবসমাজের শিল্প বিষয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে ভবিষ্যতের চাকরির জন্য কিভাবে প্রস্তুত করা যাবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও, নেশনাল্ এপ্রেন্টিসিপ প্রমোশন (এনএপিএস), জন শিকশন সংস্থান (জেএসএস), আইটিআই, এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলির সাথে পিএমকেভিওয়াই ৩.০ এর সংযোগের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের ১.২১ কোটিরও বেশি যুবক পিএমকেভিওয়াই ১.০ এবং পিএমকেভিওয়াই ২.০-এর আওতায়, স্কিলিং ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে সফলভাবে ওরিয়েন্টেড হয়েছে।
সিকিম সরকারের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি, শ্রীমতি গঙ্গা দেবী প্রধান বলেছেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি প্রকৃতির পাশাপাশি কৃষি-জলবায়ু সম্পদ, সংস্কৃতি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ের জন্য বিখ্যাত এবং তাই পিএমকেভিওয়াই ৩.০-কে কাজে পরিণত করার জন্য এসএসডিএম এবং ডিএসসির সমর্থন প্রয়জন। আমাদের সকলের পক্ষে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় এবং সরকারের কেবল উত্তর-পূর্ব ভারতে আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস এবং সংস্কৃতি প্রচার করাও যথেষ্ট নয়, তাই একটি দক্ষ কর্মশক্তি তৈরির জন্য যুবসমাজের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।