প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের উপস্থিতিতে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতুর শিলান্যাস হল। ব্রহ্মপুত্রের উপর এই সেতু আসাম ও মেঘালয়ের সংযোগ ঘটাবে এবং এটিই হবে ভারতের দীর্ঘতম নদী-সেতু। জাপানের আর্থিক সহযোগিতায় ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এজন্য জাপান জেপিওয়াই ২৫,৪৮৩ মিলিয়ন (১,৫৭৩ কোটি টাকা) আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সেতুটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে ধুবড়ি ও ফুলবাড়ির মধ্যে যাতায়াতের সময় যথেষ্ট হ্রাস পাবে।
ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সুজুকি সাতোশি বলেন, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য সহায়তা দিতে পেরে জাপান গর্বিত। ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতু দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক। জেআইসিএ-এর চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মাৎসুমোতো কাৎসুয়ো বলেন, ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত সহজতর করবে ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতু। উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে জাপানের ফান্ডিং এজেন্সি জেআইসিএ-র মাধ্যমে উত্তরপূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ‘কনসেশনাল ওডিএ লোন’ হিসেবে ২৩১ বিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (প্রায় ১৬,১৭৪ কোটি টাকা) পাওয়া গেছে।