বলিউড এখন বিতর্কের আঁতুড়ঘর। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু বলিউডে ঝড় তুলেছে। স্বজনপোষণ, গোষ্ঠী রাজনীতি, অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগতের বিতর্ক এই সবে জর্জরিত বলিউড।
সুশান্তের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা সোনু সুদ জানিয়েছিলেন যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবরটি প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। পরে অনেকের কাছ থেকে শুনে নিশ্চিত হন। সোনুও অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগতের বিতর্কে নিজের মতামত জানিয়েছেন খুব সহজভাবে, বলেছেন যে, যখন কোন বহিরাগত বলিউডে ভাল কাজ করে নিজের পরিচিতি তৈরি করতে সক্ষম হয়, তখন তা বাকিদের জন্য বিশেষ করে, নতুন বহিরাগতদের তা আশা-ভরসা যোগায়।
‘দাবাং’ অভিনেতা জানিয়েছেন যে, বলিউডে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ প্রতিভাবান, সুদর্শন মানুষ আসেন, কিন্তু বলিউডে টিকে থাকার জন্য ‘বহিরাগত’ ব্যক্তিদের লৌহকঠিন মন থাকা দরকার। অসম্ভব সহ্য ক্ষমতা থাকা উচিত। তাহলেই এই টিকে থাকার লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত সুশান্তের মৃত্যুর জন্য বলিউডের এই রীতিকেই দায়ী করেছেন। কঙ্গনা অনেকদিন আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, বলিউডে তারকা সন্তানরাই বেশি প্রাধান্য পায়, তা সে তাঁদের যোগ্যতা থাক বা নাই থাক। সেখানে যারা বহিরাগত, যাঁদের কোনও ভাবেই বলিউডের সঙ্গে পূর্বের কোনও যোগ নেই, তাঁদের ক্রামাগত লড়াই করে যেতে হয়, নিজের পরিচিতি তৈরি করতে। সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর এই দাবি আরও জোরালো হয়।