বিশেষজ্ঞদের একটি গোষ্ঠী জানিয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ, হসপিটালাইজেশন ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে শিলচরে রাধামাধব রোড রেড-লাইট এলাকা খুলে দিলে। এই এলাকা বন্ধ রাখার মেয়াদ বাড়ানো হলে তা কোভিড-১৯ কেস ও মৃত্যু ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের এই মডেলে স্পষ্ট করা হয়েছে, রাধামাধব রোড রেড-লাইট এলাকা বন্ধ থাকলে অতিরিক্ত ৪০ দিনের বিলম্ব ঘটতে পারে ‘পিক’ থেকে। এই মডেলটি তৈরি করেছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল ও ইয়েল স্কুল অফ মেডিসিনের একদল বিশেষজ্ঞ। গবেষণার সহ-রচয়িতা ও ইয়েল ইউনিভার্সিটির ড. অভিষেক পান্ডে জানান, যৌনকর্মী, দালাল ও ব্রথেল ম্যানেজার-সহ রেড-লাইট এলাকায় বসবাসকারী সকলেরই সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল। মডেলটি থেকে জানা যাচ্ছে, যদি রাধামাধব রোড রেড-লাইট এলাকা চালু হয়ে যায় তাহলে রোগটি দ্রুত রেড-লাইট এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে এবং যৌনকর্মী ও কাস্টমারদের অনেককেই সংক্রমিত করবে। এরফলে শিলচরে হসপিটালাইজেশনের হার ১৯ গুন ও মৃত্যুর হার ১৭ গুন বেড়ে যেতে পারে লকডাউন শেষের পরবর্তী ১০০ দিনে। গবেষণায় সুপারিশ করা হয়েছে, যৌনকর্মীদের কম ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য দক্ষতা অর্জনের সুযোগ প্রয়োজন। সম্প্রতি প্রচারিত সংবাদ থেকে জানা গিয়েছে, কিছু যৌনকর্মী অন্যধরণের কাজের সুযোগ সন্ধান করছেন। রেড-লাইট এলাকা বন্ধ রাখা ও যৌনকর্মীদের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ব্যবস্থা করা গেলে শিলচরে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ড. সুধাকর নুটি জানান, রাধামাধব রোড রেড-লাইট এলাকাকে বন্ধ রাখা খুবই প্রয়োজন, যতদিন না কোনও ভ্যাকসিন বের হচ্ছে এবং যৌনকর্মীদের ও আসামের মানুষদের রক্ষা করার জন্য ব্যাপকভাবে বিতরিত হচ্ছে। চিকিৎসক তথা দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা ড. স্মরণজিৎ জানার মতে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরই যৌনকর্মীদের কাজে নামার অনুমতি দিলে তা খুবই বিপদের কারণ হবে।