আইসিএমআর-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, এইচ৩এন২ (H3N2) ভাইরাস ঘটিত ফ্লু সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাল স্ট্রেন দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার কারণ এবং এর ফলে অন্যান্য ফ্লু সংক্রমণের থেকে বেশি মাত্রায় হসপিটালাইজেশন প্রয়োজন হচ্ছে। যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই বেশি জটিলতার শিকার, যেমন নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, সিজার্স। এইসব ক্ষেত্রে এইচ৩এন২ কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। আইসিএমআর-এর তথ্যানুসারে, বিগত ৩ মাসে এইচ৩এন২-সহ সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০% রোগীদের অক্সিজেন দিতে হয়েছে এবং ৭% রোগীর আইসিইউ পরিষেবা প্রয়োজন হয়েছে। যারা এইচ৩এন২ ও অন্যান্য স্ট্রেনের ফ্লুর ঝুঁকিতে রয়েছে: পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, সন্তানসম্ভবা নারী এবং বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগা রোগীরা (ডায়াবিটিস, অ্যাজমা, কিডনি ডিজিজ ও হার্ট ডিজিজ)।
সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডাঃ অসীম ঘোষ জানান, ফ্লু সংক্রমণের ফলে ৫ বছরের নিম্নের শিশুদের গুরুতর জটিল অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এবছর এইচ৩এন২ সাব-টাইপ বেশিরভাগ ফ্লু ইনফেকশনের কারণ এবং জটিলতা বৃদ্ধি পেলে হসপিটালাইজেশনের দরকার হতে পারে। ফ্লু থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায় হল ভ্যাক্সিনেশন। এর ফলে শুধু এইচ৩এন২ নয়, অন্যান্য ৩ ধরণের ফ্লু ভাইরাসের সাব-টাইপ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। হেলথ ওয়ার্ল্ড হসপিটালের কনসাল্টেন্ট (পালমোনারি মেডিসিন) ডাঃ সৌরভ সিং বলেন, এবছর ফ্লু ভাইরাসের এইচ৩এন২ সাব-টাইপ বেশিমাত্রায় ফ্লু-জনিত অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠেছে। ফোর-ইন-ওয়ান ফ্লু ভ্যাক্সিনেশন এইচ৩এন২-সহ ফ্লু ভাইরাসের চারধরণের স্ট্রেন থেকেই রক্ষা করতে সক্ষম।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অভিমত প্রকাশ করে বলেছেন, সিজনাল ফ্লু ভ্যাক্সিনেশন খুবই দরকার, বিশেষকরে হাই-রিস্ক গ্রুপের অন্তর্ভুক্তদের, যেমন স্বাস্থ্যকর্মী, সন্তানসম্ভবা মহিলা, ক্রনিক রোগে ভুগতে থাকা রোগী, ৬৫ বছরের উর্ধের বয়স্ক ব্যক্তি এবং ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশু।