ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের উদ্যোগে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হল, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় সচিব লোক রঞ্জন, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, দেশের প্রায় ৭০ জন বিনিয়োগকারী এই গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে ত্রিপুরায় বিনিয়োগযোগ্য সুযোগ বিষয়ক আলোচনায় যোগ দেন।
জানা গেছে, ইনভেস্ট ইন্ডিয়া ও ফিকি’র সহযোগিতায় ভারত সরকারের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রক ‘নর্থ ইস্ট গ্লোবাল ইনভেস্টর্স সামিট’ সংগঠিত করছে, যার উদ্দেশ্য হল দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা। প্রস্তাবিত সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে উত্তরপূর্ব ভারতে রাজ্য পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে, যার লক্ষ্য হল সম্ভাবনাপূর্ণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা, বিনিয়োগযোগ্য প্রকল্পগুলির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা, সরকারি স্কিম ও পলিসির ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত সংগ্রহ করা। বৈঠকে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের আধিকারিক, পিইউ, ব্যাংক ও অন্যান্যদের সঙ্গে মতামত বিনিময় করেন। বৈঠকে বিভিন্ন বিনিয়োগযোগ্য সুযোগের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়, যেমন এগ্রিকালচার, হর্টিকালচার, ট্যুরিজম, হ্যান্ডলুম, ফুড প্রসেসিং, রাবার, টি, ব্যাম্বু, ইনফর্মেশন টেকনোলজি, হায়ার এডুকেশন, হেলথ ও ফরেস্ট-বেসড প্রোডাক্টস। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকবছরে ত্রিপুরায় শিল্প-বান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠেছে, যার পেছনে রয়েছে উন্নত সড়কপথ, রেলপথ, বায়ুপথ, জলপথ, বিদ্যুৎ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, সেজ, সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম, নতুন বিনিয়োগ নীতি ইত্যাদি।
ত্রিপুরায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্ভাব্য বিনিয়োগযোগ্য সুযোগের বিষয়ে অনুধাবনের পর অনেক বিনিয়োগকারী ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে ৩০০ কোটি টাকার খসড়া মউ স্বাক্ষর করেন। আরও অনেকে ত্রিপুরায় বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা, ত্রিপুরার মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্র। আশা করা হচ্ছে এই গোলটেবিল বৈঠকের পর ত্রিপুরায় শিল্পায়ন ত্বরাণ্বিত হবে ও বিনিয়োগচিত্র স্পষ্টতর হয়ে উঠবে।