চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অ্যামন্ড বোর্ড অফ ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃক পরিচালিত একটি ইউগভ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভারতের বেশিরভাগ শহরগুলিতে লাইফস্টাইল সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমীক্ষাটি ভারতে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। এই সমীক্ষায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলি দূরীকরণের জন্য সুষম খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা ও স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার মতো কয়েকটি অনুসরনযোগ্য মূল কৌশলও প্রকাশ করা হয়েছে।
সমীক্ষায় হেলদি স্ন্যাকিং ক্যাটাগরিতে একটি উল্লেখযোগ্য খাদ্য ছিল অ্যামন্ডস। সমীক্ষার রিপোর্টে অ্যামন্ডসকে শক্তিশালী ও পুষ্টিকর গুণাবলীর জন্য, বিশেষত প্রোটিন ও ফাইবারের উচ্চমাত্রায় উপস্থিতি ও তার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত উপকারিতার কারণে সবচেয়ে পছন্দসই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকিং বিকল্প হিসেবে দেখা গেছে। উত্তরদাতাদের একটি বড় অংশ অ্যামন্ডসকে হার্ট হেলথ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, পিসিওএস-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য-পরিস্থিতির জন্য ভাল বলে উল্লেখ করেছে।
ভারতের দক্ষিণের (৩৬%) তুলনায় উত্তরে (৪১%), পশ্চিমে (৪২%) এবং পূর্বে (৪২%) স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। দক্ষিণের অল্পসংখ্যক মানুষই বলেছেন যে তারা দিনে একাধিকবার স্ন্যাকস খান। খাওয়ার ধরণগুলিতে মনোনিবেশ করে এটি পরিলক্ষিত হয়েছে যে অর্ধেকেরও বেশি উত্তরদাতা প্রতিদিন অ্যামন্ডস খান; এটি উত্তর ও পশ্চিমের মানুষের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। এছাড়া, দিল্লি এনসিআর, লক্ষ্ণৌ, লুধিয়ানা (৭৬%) এবং পূর্বের (৭৪%) শহরগুলির তুলনায় পশ্চিমের (৮২%) বেশিসংখ্যক উত্তরদাতা নিয়মিত অ্যামন্ডস খান।দিল্লি, লক্ষ্ণৌ, লুধিয়ানা, জয়পুর, ইন্দোর, কলকাতা, ভুবনেশ্বর, মুম্বই, আহমেদাবাদ, পুণে, ব্যাঙ্গালোর, কোয়েম্বাটুর, হায়দ্রাবাদ, কোচি ও চেন্নাই-সহ বিভিন্ন শহরের ৪০০০ জনেরও বেশি উত্তরদাতাদের মধ্যে এই সমীক্ষাটি পরিচালিত করা হয়।ম্যাক্স হেলথকেয়ার- দিল্লির রিজিওনাল হেড -ডায়েটিক্স ঋতিকা সমাদ্দার, নিউট্রিশন অ্যান্ড ওয়েলনেস কনসালট্যান্ট শীলা কৃষ্ণস্বামী এবং এমবিবিএস ও পুষ্টিবিদ ডাঃ রোহিনী পাতিল সমীক্ষার ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং প্রতিদিনের ডায়েটে অ্যামন্ডস যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।