প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটিকে ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। এর উদ্দেশ্য হল কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ (সিভিডি) ও তার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবছরের ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’-র থিম হল ‘ইউজ হার্ট নো হার্ট’ (Use Heart Know Heart’)। এই প্রচারাভিযানের লক্ষ্য হল হৃদযন্ত্রকে জানা ও তার যত্নের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা।
সম্প্রতি, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণামূলক সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যসূচি বজায় রাখার সময় প্রতিদিনের স্ন্যাক্স হিসেবে ৪২ গ্রাম আমন্ডস খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আমন্ডস স্ন্যাকিং কোমরের পরিধি ও পেটের চর্বিও হ্রাস করে, যা হৃদরোগের দুটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। হার্টের আরও ভাল স্বাস্থ্যলাভের জন্য প্রথম পদক্ষেপটি হ’ল আরও ভাল খাবার বেছে নেওয়া। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একমুঠো আমন্ডস যুক্ত করা একটি ভাল অভ্যাস, কারণ এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। আমন্ডস স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকিংয়ের বিকল্প তৈরি করে ও হার্টের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। আমন্ডস খাওয়ার অভ্যাস এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত হলে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মান উন্নত করতে পারে ও হার্টের পক্ষে ক্ষতিকারক প্রদাহের মাত্রা কমাতে পারে।
আমন্ডসের গুণাবলীর উল্লেখ করে জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান, রোহিণী পাতিল (এমবিবিএস ও নিউট্রিশনিস্ট), সেলিব্রিটি পিলেটস মাস্টার ইনস্ট্রাক্টর ইয়াসমিন করাচিওয়ালা, শীলা কৃষ্ণস্বামী (নিউট্রিশন অ্যান্ড ওয়েলনেস কনসালট্যান্ট), ম্যাক্স হেলথকেয়ার দিল্লির রিজিওনাল হেড-ডায়েটেটিক্স ঋতিকা সমাদ্দার এবং অন্যান্যরা মত প্রকাশ করেছেন: সুস্থ হার্টের জন্য জীবনযাত্রার ধরণের পরিবর্তন যেমন প্রয়োজন, তেমনই হার্টের পক্ষে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন সবুজ পাতাওয়ালা শাক, অন্যান্য শাকসবজি, ফল, আমন্ডের মতো বাদাম, মাছ, ডাল, হোল গ্রেন ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত।