অ্যামাজন ইন্ডিয়া ভারতে তাদের ঘোষিত অঙ্গীকারগুলির নবীকরণ করেছে। অ্যামাজন জানিয়েছে যে তারা ৬২ লক্ষেরও বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে (এমএসএমই) ডিজিটাইজ করেছে, প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ই-কমার্স রফতানি ঘটাতে সক্ষম করেছে এবং এযাবৎ ভারতে ১৩ লক্ষেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। অ্যামাজন ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ১ কোটি এমএসএমই’র ডিজিটাইজেশন, ২০ বিলিয়ন ডলারের ই-কমার্স রফতানি এবং ২০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অ্যামাজন সেই অঙ্গীকারগুলি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
প্রায় দু’বছর আগে, অ্যামাজন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সম্ভাবনা বিকাশের জন্য প্রযুক্তি-চালিত স্টার্টআপগুলিতে বিনিয়োগের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অ্যামাজন সম্ভব ভেঞ্চার ফান্ড তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল। ভেঞ্চার ফান্ড ভারতে উদ্ভাবন, নির্মাণ ও তৈরি করতে উদ্যোক্তাদের সক্ষম করার দিকে লক্ষ্য রাখে। বিগত ২৪ মাসে ভেঞ্চার ফান্ড বেশ কিছু বিনিয়োগ করেছে। অ্যামাজন ইন্ডিয়া বিক্রেতা, কারিগর ও বয়নশিল্পী, ডেলিভারি ও লজিস্টিক সার্ভিস পার্টনার-সহ ৬.২ মিলিয়নেরও বেশি এমএসএমই’কে ডিজিটাইজ করেছে। অ্যামাজনের ডিজিটাইজেশন প্রচেষ্টা স্থানীয় খুচরা দোকান, কারিগর ও তৃণমূলস্তরের উদ্যোক্তা-সহ ছোট ব্যবসাগুলিকে তাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের আরও প্রসারিত হতে সক্ষম করছে। অনলাইন বিক্রয়কে সহজতর করতে ও সারা ভারত জুড়ে লক্ষ লক্ষ এমএসএমই-র কাছে ই-কমার্সকে গ্রহণীয় করার জন্য অ্যামাজন ইন্ডিয়া সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উদ্যোগ চালু করেছে। অ্যামাজন ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে গ্রাহকদের কাছে ভারতীয় ব্যবসায়কে পৌঁছাতে, ভারত থেকে গ্লোবাল ব্র্যান্ড তৈরি করতে এবং গ্লোবাল সেলিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে রফতানি বাড়াতে সহায়তা করার জন্য একটি শক্তিশালী পরিকাঠামো তৈরির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে। প্রোগ্রামটির গতি দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে এই প্রোগ্রামে ১.২৫ লক্ষেরও বেশি এক্সপোর্টার রয়েছে যারা ২০২৩ সালের শেষনাগাদ মোট রফতানি ৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করার দিকে এগিয়ে চলেছে। এমএসএমই-গুলির ডিজিটাইজেশন ও দেশ থেকে ই-কমার্স রফতানি বাড়ানোর জন্য অ্যামাজনের প্রচেষ্টা ভারতে হাজার হাজার জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করছে। বিগত একবছরে অ্যামাজন আইটি, ই-কমার্স, লজিস্টিকস, ম্যানুফ্যাকচারিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের শিল্পগুলিতে প্রায় ১.৪ লক্ষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে।