বোন ঐন্দ্রিলা শর্মা চলে যাওয়ার পর নেটমাধ্যমের পাতায় লিখলেন দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। ‘আমার ছোট্ট বুনু … এইভাবেই সারাজীবন দু’জন দু’জনের হাত ধরে বেঁচে ছিলাম আছি এবং থাকবো..।’ দুই বোনের খুব ছোটবেলার একটি ছবি পোস্ট করেছেন ঐশ্বর্য। পুরনো সেই ছবিতে ছোট্ট ঐন্দ্রিলার হাত ধরে দাঁড়িয়ে তাঁর দিদি। দুই বোনের মধ্যে যে ভারী মিল ছিল।
ঐন্দ্রিলা আর নেই। টানা ২০ দিনের লড়াই শেষ। হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালের তরফে খবর রবিবার বেলা ১২টা বেজে ৫৯ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। কপালে চন্দনের ফোঁটা, পায়ে চুম্বন এঁকে চোখের জলে তাঁকে বিদায় জানিয়েছে প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। প্রতি মুহূর্তে তাঁকে হারানোর কষ্ট উপভোগ করছেন পরিবার এবং নিকটতমরা।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর দুই বোনের একাধিক ছবি একসঙ্গে ছবি ভেসে উঠেছে তাঁর দিদি ঐশ্বর্যর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। দু’বার মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে যেন ‘ফিনিক্স’ হয়ে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর এমন অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে। সকলেরই আশা ছিল, এ বারও ফাইট ব্যাক করবেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু এ বার আর সেই আশাপূরণ হল না তাঁর অনুরাগীদের। ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য পেশায় চিকিৎসক। তবে ছোট থেকেই ঐন্দ্রিলার স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। যদিও বাকি আর পাঁচটা মেয়ের মতো সেই স্বপ্নের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত লড়াইও ছিল নায়িকার। এক বার নয়, দু’বার ক্যানসারকে হারিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। মাত্র পনেরো বছর বয়সে অভিনেত্রীর শরীরে বাসা বাধে কর্কট রোগ। সেই তখন থেকে শুরু হয়ে চব্বিশে শেষ হল ঐন্দ্রিলার অসম লড়াই। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই স্তব্ধ হয়ে গেল ঐন্দ্রিলার জীবন।