ন্যাশনাল সানস্ক্রিন ডে পালিত হয় ২৭ মে। এটাই হল ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সঠিক সময়। সানস্ক্রিনের প্রধান কাজ হল ত্বককে আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা। দীর্ঘসময় ধরে সূর্যের ইউভি রশ্মির প্রভাবে থাকলে ত্বকের নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডাঃ শ্রাবণী ঘোষ জোহা জানান, সানস্ক্রিন ত্বককে স্কিন ক্যান্সার ও প্রিম্যাচিওর এজিং থেকে রক্ষা করতে পারে। বেশিক্ষণ সূর্যের আলোয় থাকলে সানস্পট ও অন্যান্য ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ডার্মাটোলজি অনুসারে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় সানবার্ন, ফ্রেকলিং, ডিসকালারেশন, ফটো এজিং, স্কিন ক্যান্সার, ফটোটক্সিক/ ফটো অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন, ফটো সেন্সিটিভিটি ডিজিজ ও পোস্ট-ইনফ্লেমেটরি হাইপার পিগমেন্টেশনের ক্ষেত্রে। সানস্ক্রিন বেছে নেওয়ার সময়ে দেখা দরকার তা যেন ইউভিএ ও ইউভিবি রে’র বিরুদ্ধে ব্রড-স্পেক্ট্রাম প্রোটেকশন দিতে পারে এবং তাতে যেন এসপিএফ কমপক্ষে ৩০+ থাকে। সানস্ক্রিন লাগাতে হবে হালকাভাবে এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর। তাছাড়া, সাঁতার কাটা বা ঘেমে যাওয়ার পরও ফের ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন হচ্ছে সবথেকে শেষের ধাপ। এটি প্রয়োগ করতে হবে ময়েশ্চারাইজারের পরে ও মেকআপের আগে। একজন চিকিৎসকই কারও ত্বকের ধরণ অনুসারে সঠিক সানস্ক্রিন প্রেসক্রাইব করতে পারেন। ন্যাশনাল সানস্ক্রিন অ্যাওয়ারনেস মান্থ-এ সকলেরই উচিৎ ত্বকের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহারের শপথ গ্রহণ করা।