আসামের বিহু বিশ্বের দরবারে নতুন পরিচিতি পেয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। গুয়াহাটির সরুসাজাই স্টেডিয়ামে বিহু নৃত্যে ১১ হাজার ৩০৪ জন নৃত্যশিল্পী অংশ নিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তিন হাজার ঢাকি। বিহু নৃত্য দেখতে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সদর দফতর লন্ডন থেকে সদস্যরা এসেছিলেন।
এর আগে এক উঠানে এত হাজার হাজার মানুষ বিহু নাচেনি। যে কারণে এই ঘটনা নজির স্থাপন করেছে। একই মাঠে একসঙ্গে তিন হাজার ধুলিয়া ঢাক বাজিয়েও বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন। শুক্রবার থেকে আসামে শুরু হয়েছে রঙ্গোলি বিহু। তারই অংশ হিসেবে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। “বৃহস্পতিবার, আমরা বিহু নাচ এবং ঢাক বাজানোর জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছে,” হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন। এই স্বীকৃতিতে অভিভূত প্রধানমন্ত্রীও।
আসাম বিহু সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার গুয়াহাটিতে পৌঁছেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম AIIMS (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স) উদ্বোধন করেন। AIIMS ক্যাম্পাস নির্মাণে 1,123 কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। মোদি 2017 সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তিনি কার্যত নলবাড়ি, নগাঁও এবং কোকরাঝাড়ে তিনটি মেডিকেল কলেজের ভারচুয়ালি উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী ১৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আজকাল একটা নতুন রোগ হয়েছে – আগের সরকার অভিযোগ করে যে তারাও কয়েক দশক ধরে দেশ শাসন করেছে, কিন্তু কেন তারা কৃতিত্ব পায়নি। আমরা আপনার সেবক হিসাবে কাজ করি, তাই উত্তর পূর্ব আমাদের কাছে দূরের মনে হয় না এবং আনুগত্যের অনুভূতি বজায় থাকে। আজ, উত্তর-পূর্বের মানুষ নিজেরাই উন্নয়নের লাগাম নিয়ে ভারতের উন্নয়নের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে।”