২৯শে জানুয়ারী সমাপ্তি হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে Special Audience Award এ পুরস্কৃত করা হলো “বিজয়ার পরে” ছবিটিকে। নয়দিন ব্যাপী এই উৎসবে ৭২টি দেশের ২৫০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এদিন সন্ধ্যেয় ঢাকা থেকে পুরস্কারের সংবাদ এসে পৌঁছতেই খুশির হাওয়া এপার বাংলার সাংস্কৃতিক মহলে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ‘বিজয়ার পরে’ ছবির প্রতিনিধি হিসেবে দুই অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর এবং স্বস্তিকা মুখার্জি বাংলাদেশ গণভবনে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন, সঙ্গে ছিলেন উৎসব জুরি বোর্ডের সদস্যা শ্রীমতি শর্মিলা ঠাকুর। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বেঙ্গল প্যানোরোমা বিভাগের পর ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও বিশ্ব সিনেমা বিভাগে মনোনীত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছবি ‘বিজয়ার পরে’।
এছাড়াও ছবিটি মুম্বাই, দিল্লী, তেলেঙ্গানা এবং দুবাইয়ে একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইতিমধ্যেই মনোনীত হয়েছে। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকমহলে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি কলকাতার নন্দন ও নজরুল তীর্থে টানা হাউসফুল চলছে ছবিটির প্রদর্শনী। প্রসঙ্গত ছবিটির প্রযোজক সুজিত রাহা এবং পরিচালক অভিজিৎ শ্রীদাস দুজনেই শিলিগুড়ি শহরের হওয়ায় ছবিটির প্রতি বাড়তি উৎসাহ দেখা যায় এই অঞ্চলে। এটিই সম্ভবত এই অঞ্চল থেকে প্রথম মূল ধারার পূর্ণদৈর্ঘ্যের বাংলা কাহিনীচিত্র।
শ্রী সুজিত রাহা জানান, ছবিটি ঢাকায় প্রদর্শনীর আগে সে দেশের সিনেমা অনুরাগীদের মধ্যে যে বিপুল উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল তারই প্রতিফলন দেখা গেল সন্ধ্যার প্রদর্শনীতে, প্রেক্ষাগৃহ যখন পরিপূর্ণ তখনও তার দ্বিগুণ মানুষ বাইরে অপেক্ষমান। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সেই ভিড়ের বিশেষ উল্লেখ করেন উৎসব কমিটির ডিরেক্টর আহমেদ মুস্তাফা জামাল। সিনেমায় বিশেষ ভূমিকার অভিনয় করতে দেখা গেছে মমতা শঙ্কর, দীপঙ্কর দে, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, খেয়া চট্টোপাধ্যায়, মীর আফসর আলি, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, মিশকা হালিম, পদ্মনাভ দাসগুপ্ত, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, তানিকা বসু ও বিমল গিরি এর মতো স্বনামধন্য অভিনেতাদের। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রণজয় ভট্টাচার্য এছারাও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেক আপ ও পোশাকেও দারুণ কাজ করেছেন অভিষেক রায় ও সন্দীপ জয়সোয়াল। ছবিটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী, ও শাওনি মজুমদার।