১০ জুন বাংলাদেশে শেষ হল ব্যতিক্রমের এডুকেশনাল কনক্লেভ। এক দশক ধরে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক ব্যতিক্রম মাসদো পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষাগত সম্পর্ক জোরদার করতে এই উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশের ঢাকা ক্লাবে প্রথমবারের মতো এই এডুকেশনাল কনক্লেভ আয়োজন করা হয়। যা দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে, শিক্ষা বিনিময়কে উৎসাহিত করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের সেতু তৈরি করেছে। সংগঠনের সভাপতি ডঃ সৌমেন ভারতীয় বলেন, “দুই দেশের মধ্যে যত বেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং অর্থনৈতিক বিনিময় হবে, অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্ক তত শক্তিশালী হবে। শিক্ষাগত আদান-প্রদানের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে ‘ব্যাতিক্রম এডুকেশন কনক্লেভ’।” গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মিঃ রুহুল আমিন, ব্যতিক্রম মাসদোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
এদিন শ্রদ্ধেয় লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মৌ রায়চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কনক্লেভের সূচনা হয়। অনেকগুলি ধাপে প্যানেল ডিসকাসন হয়। উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ বাড়ানো, ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আগামীকালের চাকরির জন্য ছাত্রদের প্রস্তুতি, স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ আলোচনায় উঠে আসে। এই কর্মসূচি বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন, গুয়াহাটির জেআইএস ইউনিভার্সিটি, ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ, সার্ক কালচারাল সোসাইটি, নর্থ ইস্ট সলিউশনসের সমর্থন পেয়েছে।
ব্যতিক্রম সম্পর্কে: ব্যতিক্রম মাসদো একটি অসম ভিত্তিক বিশিষ্ট সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। মাসদোর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে ভারতরত্ন ড. ভূপেন হাজারিকার জন্মবার্ষিকী উদযাপন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কারাগারের দিনলিপি’ এবং ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-এর অসমীয়া অনুবাদ প্রকাশ এবং সম্প্রতি, “ব্যাতিক্রম মেডিকেল ট্যুরিজম” কনক্লেভের আয়োজন ইত্যাদি।