অতিরিক্ত পরিভাষা ব্যবহারে অসন্তুষ্ট কলকাতার পেশাদাররা

কর্মক্ষেত্রের পৃথক ভাষা ডিকোড করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ আর এই সমস্যাগুলো দূর করতে, লিঙ্কডইন, বিশ্বের বৃহত্তম পেশাদার নেটওয়ার্ক এবং ডুয়োলিঙ্গো, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় ভাষা শেখার প্ল্যাটফর্ম, স্পটলাইট করবে ভারতীয় পেশাদারদের কর্মক্ষেত্রের পরিভাষা। এই অংশীদারিত্বটি পেশাদারদের পরিভাষা সম্পর্কে কেমন অনুভব করেন এবং প্রকৃত কর্মক্ষেত্র গঠন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করবেন।

শহরের ৮২% পেশাদাররা সম্মত হয়েছেন যে সকল লোকেরা কর্মক্ষেত্রের পরিভাষা সম্পর্কে যারা বুঝতে পারে না তাদের তুলনায় এই বিষয়টি যারা ভালো করে বুঝতে পারেন তাদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে থাকার (প্রমোশন, রাইসেস) সম্ভাবনা  অনেক বেশি। প্রায় ৪৩% পেশাদাররা কর্মক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। ‘টেক অফলাইন’, ‘উইন-উইন সিচুয়েশন’ এবং ‘ডিসরাপ্টিভ ইনোভেশন’ এইসব পদ এবং বাক্যাংশগুলি পেশাদারদের কাছে ভীষণ বিভ্রান্তিকর যা ডিকোড করা খুব কঠিন।

এই পরিভাষা গুলির ব্যাবহার কর্মক্ষেত্রে ভাষা বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে, যা সুযোগের বিভাজন ঘটাতে পারে। অর্ধেকেরও বেশি (৫৮%) ভারতীয় পেশাদাররা স্বীকার করেছেন এই পরিভাষাগুলির জন্য তাদের কর্মক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির সম্মুখীন হতে হয়েছে। মূলত, মিলেনিয়াল (৩৯%) এর সাথে সর্বাধিক জেন জেড (৩৬%)-রা কর্মক্ষেত্রের এই পরিভাষা ব্যবহার করে থাকেন। তারা এই পরিভাষাগুলিতে এতটাই অভ্যস্ত যে তারা খুব কমই বুঝতে পারেন যে তারা এটি ব্যবহার করছে।লিঙ্কডইন ক্যারিয়ার এক্সপার্ট এবং ইন্ডিয়া ম্যানেজিং এডিটর নীরজিতা ব্যানার্জি বলেন, “আমরা অত্যধিক পরিভাষা ব্যবহার না করে এবং স্পষ্ট ভাষার মাধ্যমে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে সবাই নিজেদের অন্তর্ভুক্ত মনে করে, যা আরও বেশি উৎপাদনশীলতা, শক্তিশালী টিম এবং একটি ইতিবাচক কাজের সংস্কৃতির দিকে পরিচালিত করবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *