সাধারণ ডায়েট চেঞ্জ কি ডায়াবেটিস এবং রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে?

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR), এই বছরের নতুন পরিসংখ্যানে প্রকাশিত করেছে যে ভারতে প্রায় ১০১ মিলিয়নেরও বেশি লোকের ডায়াবেটিস রয়েছে। ২০১৯ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল প্রায় ৭০ মিলিয়ন লোক যা বর্তমানে প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্তু, এটি অনুমান করা হয়েছে যে ১৫.৩% জনসংখ্যার, বা প্রায় ১৩৬ মিলিয়ন লোকের প্রিডায়াবেটিস রয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুন্নত জীবনধারা ডায়াবেটিসের বোঝা বাড়ায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ ডেকে আনে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিত্সার জন্য গ্লুকোজের মাত্রা অপ্টিমাইজ করা অত্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি ওয়েল-প্ল্যানড জীবনধারা মানুষকে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে, তাদের খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করতে এবং তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। অ্যাবটস নিউট্রিশন বিজনেসের হেড অফ মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স, ডাঃ ইরফান শেখ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডায়াবেটিস এবং অসুবিধাগুলির সাথে সহজে মোকাবেলা করার জন্য ডায়েটারি পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন স্ট্রাটেজিগুলি কীভাবে তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে কিছু বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি ব্যাপক খাদ্য পরিকল্পনা তৈরী করা দরকার যা ডায়াবেটিস পরিচালনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি তৃপ্তিদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভিজ্ঞতার জন্য গম, অপরিশোধিত চাল, বাদামী চাল, বার্লি, বাকউইট, ওটস, বাজরা, ফল এবং চর্বিহীন মাংস খাওয়া দরকার। সঠিক খাওয়ার পাশাপাশি, নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ফিট থাকা ডায়াবেটিস পরিচালনার একটি অসাধারণ উপায়। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের পেশীগুলিকে টোন করতে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখে। তবে যদি আপনি কোনো ক্রমে অসুস্থ থাকেন তাহলে সেই সময়ে ব্যায়াম এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ এতে আরো ক্ষতি হতে পারে।   

আধুনিক যুগে সঠিক খাদ্যতালিকা তৈরী করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফুড-ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি আপনার প্রতিদিনের পুষ্টির পরিমান পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে। এই অ্যাপগুলি প্রতিদিনের খাওয়ার খাবার রেকর্ড রাখে এবং প্রতিদিনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের স্ন্যাকস খাবার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত, কারণ এটি শরীরে ক্যালোরি এবং চিনি যোগ করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সুস্বাস্থ্য বজায় রক্ষার ক্ষেত্রে পুষ্টিকর ফল বা শাকসবজিকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সঠিক পরিপূরক নির্বাচন করার জন্য রোগীদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *