অ্যাস্থমা একটি অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) যা সমস্ত বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে এবং শিশুদের মধ্যে এটি একটি অতি সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এই অবস্থার ফলে শ্বাসনালী সংকীর্ণ হয়ে ফুলে যায় এবং অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি করে, যার ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এই বিষয় সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে Cipla নিয়ে এসেছে #BerokZindagi ক্যাম্পেইন যা সামাজিক কথোপকথনের মাধ্যমে জনগণকে অ্যাস্থমা বিষয়ে সচেতন করে এই রোগের সাথে লড়াই করতে সহযোগিতা করতে সহায় করবে।
শিলিগুড়ির পালমোনোলজিস্ট কনসালট্যান্ট ডা. অভিষেক বালি বলেন, “ভারতে হাঁপানি একটি সামাজিক সমস্যা যা ভুল ধারণা এবং মিথে জর্জরিত এবং ভারতে মাত্র ২৩% রোগী তাদের অবস্থাকে এর আসল নাম দিয়ে সম্বোধন করতে সক্ষম। এই চ্যালেঞ্জগুলি রোগীদের জন্য সময়মতো চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া কঠিন করে তোলে। রোগের কার্যকর পরিচালনার জন্য এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং রোগীর ফলাফল উন্নত করার জন্য এটি সমাধান করা দরকার”।
শিলিগুড়ির চাইল্ড স্পেশালিস্ট ও নিওনেটোলজিস্ট ডা. অজিত ছেত্রী বলেন, “যদিও ইনহেলেশন থেরাপি হাঁপানি ব্যবস্থাপনার মূল ভিত্তি এবং এটি ভারতে ইনহেলারের সাথে যুক্ত সামাজিক চিন্তাধারা এই রোগের অব্যবস্থাপনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এটি শিশুদের মধ্যে প্রায়ই পাওয়া যায়, এবং পিতামাতারা প্রায়শই শিশুর এই অবস্থা গোপন করেন এবং তাই লক্ষণগুলি আরও খারাপ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা করতে দেরী করেন। প্রকৃতপক্ষে ডাক্তার-নির্ণয় করা রোগীদের মধ্যে ইনহেলেশন থেরাপির ব্যবহার ৯% এরও কম। এই বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলির সাথে যুক্ত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবার দুর্বল অ্যাক্সেস, চিকিৎসার ব্যয়, অপর্যাপ্ত সংস্থান এবং সতর্কতা লক্ষণগুলির স্বীকৃতির পাশাপাশি সঠিক ডিভাইস কৌশল সহজতর করার জন্য উপযুক্ত নির্দেশিকা। অতএব, এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য ভারত হাঁপানিকে কীভাবে দেখে তার পাশাপাশি তার প্রস্তাবিত চিকিৎসাগুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন”।