তিনি যেভাবে নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগায় অনেককেই। সম্প্রতি শাহরুখের সঙ্গে অন্যতম সেরা নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। কয়েক বছর আগেই দীপিকা নিজের জীবনের সেই খারাপ সময়ের কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন । এরপরেই নিজের একটি এনজিও শুরু করেন দীপিকা পাড়ুকোন । তাঁর এনজিও-র নাম লিভ লভ লাফ। তাঁর জীবন হয়ে ওঠে আরও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। যাঁরা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে এই সংস্থা তাঁদের পাশে দাঁড়ায়। এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের স্টোরি ভাগ করে নিলেন নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন । এই অনুষ্ঠানেই দীপিকা জানান যে অবসাদে একবার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন নায়িকা। তাঁর মা প্রথম বুঝতে পারেন যে, অবসাদে ভুগছেন দীপিকা।
দীপিকা বলেন যে, আমার জীবনে সব ঠিকঠাকই চলছিল। তাই আমার মনখারাপের কোনও বিশেষ কারণ ছিল না। আমি ব্রেক ডাউনে ভেঙে পড়ি। সেই সব দিনে ঘুমই ছিল আমার পালানোর একমাত্র উপায়। আমি তখন আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলাম। আমার বাবা-মা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন, মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। আমি তখন ওদের দেখাতাম যে আমি খুব ভালো আছি। একদিন ওরা বেঙ্গালুরু ফেরত যাচ্ছিল আর তখনই আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। মা আমায় জিগ্গেস করেন যে কেন কাঁদছি? কোনও বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা? কাজের ক্ষেত্রে কিছু ঘটেছে কিনা? আমার কাছে কোনও উত্তর ছিল না।’ দীপিকা বলেন যে, ‘আমার কাছে উত্তর ছিল না কারণ সেরকম কোনও বিষয় ছিল না। মা সঙ্গে সঙ্গেই দেখে বুঝতে পারে যে আমি অবসাদে ভুগছি। আমার জন্যই মাকে ভগবান পাঠিয়েছিল বলে আমার ধারণা।’
সকলের সামনে নিজের জীবনের গভীর অবসাদের গল্প তুলে ধরেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। অনেকেই অবসাদে ভুগেছেন কিন্তু দীপিকার মতো সকলের সামনে তা তুলে ধরতে পারেন না। নিজের জীবনের অবসাদ থেকে বেরিয়ে এসে পাঠানের শ্যুটিং শেষ করেছেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। মুক্তি পেতে চলেছে আগামী বছর সেই ছবি।