জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এক অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার । ঋতুপর্ণা ঘোষের ‘দহন’ ছবিতে এক ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিনয় সমাদৃত হয়েছিল বহু ফেস্টিভ্যালে। সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেত্রী কিন্তু ব্যক্তিজীবনে দারুণ মজার একজন মানুষ। ইন্দ্রাণীর সঙ্গে গল্প করলেই তাঁর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে এক কিশোরী। যে কিশোরী অবলীলায় বলতে পারেন, “আমি স্বামীকে জানিয়েই প্রেম করি। আমার মন ভাঙলে স্বামীর কাঁধে মাথা রেখেই কাঁদি অনর্গল। স্বামী বলেন, ‘বলেছিলাম তোমাকে ওকে ভাল না বাসতে, এখন দেখলে তো’।”
একবার তিনি জানিয়েছিলেন ,তাঁর ছোটবেলার প্রেমের কথা, বাবার কথা। অভিনেত্রীর বাবা নাকি তাঁকে অজস্র প্রেম করতে উৎসাহ দিতেন। বলতেন, “এত প্রেম করবি যে হাতের কড় গুণে শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু তোর প্রেমিকের সংখ্যা কমবে না।”ছোট থেকেই সুন্দরী ইন্দ্রাণী। তাঁর কাছে মুঠোমুঠো প্রেম প্রস্তাব আসত। পাড়ার দাদা, টিউশনের সহপাঠী–ইন্দ্রাণীকে সকলেই ভালবাসতেন। অনেকে সাহস করে প্রেমপত্রটাও দিতেন। সেই প্রেমপ্রস্তাব নিয়ে কী করতেন ইন্দ্রাণী? সকলকেই পাত্তা দিতেন? কাউকে-কাউকে পাত্তা দেবেন না বলে বাড়িতে ডেকে ভাইফোঁটাও দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী।
পরবর্তীকালে ইন্দ্রাণী ভাইফোঁটা দিয়েও প্রেম করেছেন । এই নিয়ে তিনি অকপট বলেছিলেন, “আমাকে সরাসরি এসে কেউ প্রেমের কথা বলত না। যাঁকে পাত্তা দেওয়ার হয় দিয়েই দিতাম। যাঁকে পাত্তা দেওয়ার হয় না, ভাইফোঁটায় নেমন্তন্ন করে দিতাম। এই প্র্যাকটিসটা ছোট কিন্তু আমার থেকেই। তবে ছোটবেলায় যাঁকে ভাইফোঁটা দিয়েছি, তাঁর সঙ্গেও হাত ধরাধরি করে ঘুরেছি। এসব ক্ষেত্রে বাঁ হাতে ভাইফোঁটা দিয়ে ডান হাতে মুছে দিতাম।”