বছর ঘুরলেও এখনো পর্যন্ত অজানাই রয়ে গেলো তার মৃত্যুর কারণ৷ মৃত্যুর দু’বছর পর নয়া মোড় নিচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলা৷ সুশান্তের ময়নাতদন্তের সঙ্গে জড়িত কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী দাবি করেছিলেন, আত্মহত্যা নয়৷ খুন হয়েছিলেন অভিনেতা৷ মৃতদেহ দেখার পরই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়৷ কারণ সুশান্তের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল৷ আঘাতের দাগ ছিল গলাতেও৷ হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি তিনি জানিয়েওছিলেন৷ কিন্তু তাঁরা তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন বলে দাবি৷
এবার সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। সিবিআই-এর কাছে তাঁর অনুরোধ, যাতে তদন্তকারী অফিসাররা এই দিকটা খতিয়ে দেখেন। শ্বেতা টুইট করে বলেন, ‘যদি এই দাবিতে এক কণাও সত্যি থাকে তাহলে আমরা সিবিআইকে অনুরোধ করব, তারা যেন এই দিকে নজর দেন। আমরা শুরু থেকেই আশা করে এসেছি আপনারা সঠিক তদন্ত করবেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোনও পরিণতি আসেনি ভাবলেও আমাদের বুক ব্যথা করে।’
অন্যদিকে, সুশান্তের আইনজীবী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না৷ কারণ ওঁর বোনেরা আমাকে এই নিয়ে কিছুই বলেনি। কিন্তু আমি এখনও বলব সুশান্তের মৃত্যু কোনও সাধারণ আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এর পিছনে ছিল বড়সড় ষড়যন্ত্র, যা একমাত্র সিবিআই-ই খুঁজে বার করতে পারবে।’