এই বিশ্ব টিকাকরন সপ্তাহ (২৪-৩০ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমিউনাইজেশনের সম্প্রসারিত কর্মসূচির (ইপিআই) ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। এই মাইলফলকটি বিশ্বজুড়ে টিকাদান প্রচেষ্টার উত্তরাধিকারকে স্মরণ করে এবং গত পাঁচ দশক ধরে টিকাদানের মাধ্যমে সুরক্ষিত অগণিত জীবন ও কমিউনিটির রিমাইন্ডার হিসাবে কাজ করে। ভারতে, ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম (ইউআইপি) ৯০%-এরও বেশি শিশুদের টিকা দেওয়ার কভারেজ সম্প্রসারণ করতে সফল হয়েছে। দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু আংশিকভাবে টিকাপ্রাপ্ত রয়ে গেছে।
একাধিক রোগের বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষায় টিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে টিকা ৩৭ মিলিয়ন শৈশব মৃত্যু এড়ায়৷ দ্য ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (আইএপি) টিকা দেওয়ার পরামর্শ দেয়। শিশুদ, কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সহ সমস্ত যোগ্য বয়সের জন্য টিকাকরন আবশ্যক।
টিকাদানের গুরুত্ব সম্পর্কে হাওড়ার কনসালটেন্ট পেডিয়াট্রিসিয়ান এবং নিওনেটাল ইনটেনসিভিস্ট, ড. অভিজিৎ সরকার বলেছেন,”বিশ্ব টিকাকরন সপ্তাহ টিকার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে আমরা যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি তার একটি রিমাইন্ডার। টিকাদানের প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে প্রতিটি শিশুর প্রয়োজনীয় টিকা এবং উন্নতির সুযোগ রয়েছে।”