কার্ডিওভাস্কুলার হেলথের প্রতি তাদের অবিচল অঙ্গীকারের কথা ফের ব্যক্ত করেছে গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।গ্লেনমার্ক তাদের চলতি ‘টেক চার্জ @১৮’ (Take Charge @18) প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে ভারতের ২৭৭টি শহর ও জনপদ জুড়ে ৪২০টিরও বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ১২০০ জনেরও বেশি হেলথকেয়ার প্রফেশনালের (এইচসিপি) সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় সারা সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে ৪১০টি সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল এবং যার মাধ্যমে ‘বিশ্ব হৃদয় মাস’ (ওয়ার্ল্ড হার্ট মান্থ) পালন করেছে গ্লেনমার্ক।
‘ওয়ার্ল্ড হার্ট রিপোর্ট ২০২৩’ জানাচ্ছে, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ (সিভিডি) মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ এবং তা বিশ্বব্যাপী সমস্ত মৃত্যুর প্রায় এক তৃতীয়াংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (২০১৬) মতে, ভারতে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ-সহ অসংক্রামক রোগগুলি (এনসিডি) প্রাপ্তবয়স্কদের মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশের জন্য দায়ী বলে অনুমান করা হয়। এর মধ্যে সিভিডি-গুলির কারণে মৃত্যু এক চতুর্থাংশেরও বেশি (২৬%) অর্থাৎ ১৭.৭ মিলিয়ন। উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) সিভিডি’র অগণিত ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ। গ্লেনমার্কের ‘টেক চার্জ @১৮’ প্রচারাভিযানটি একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করা হয়েছিল – ১৮ বছর বয়স থেকেই ‘প্রো-অ্যাক্টিভ হার্ট হেলথ ম্যানেজমেন্ট’ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। ওয়ার্ল্ড হার্ট মান্থ অ্যাওয়ারনেস র্যালির উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল – (১) নেশনওয়াইড রিচ, (২) পার্টনারিং উইথ হেলথকেয়ার প্রফেশনালস, (৩) আর্লি ইন্টারভেনশন।
এই যুগে সক্রিয় ও সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি। গ্লেনমার্কের ‘টেক চার্জ @১৮’ প্রচারাভিযানটি ভবিষ্যতে কার্ডিওভাসকুলার কমপ্লিকেশন এড়ানোর জন্য প্রাথমিক হস্তক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সাধারন মানুষকে শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছে। প্রচারাভিযানটি সিভিডি’র ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার জন্য নিয়মিত হিসাবে রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ ও জীবনযাত্রার ধরণের পরিবর্তনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০২৩ সালের অগাস্টে গ্লেনমার্ক ১৮ বছর বয়স থেকে বাড়িতে রক্তচাপ পরিমাপের ক্ষেত্রে জাপানের শীর্ষস্থানীয় সংস্থার ভারতীয় শাখা ওমরন হেলথকেয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে পার্টনারশিপে আবদ্ধ হয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল প্রায় ৯২,০০০ হেলথকেয়ার প্রফেশনালদের (এইচসিপি) জন্য ইন-ক্লিনিক এডুকেশন, কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য যুব সচেতনতা প্রোগ্রাম এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-সহ (www.bpincontrol.in) একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে ২০০ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানো।