ভারতের অন্যতম প্রযুক্তি কোম্পানি এইচসিএল টেকের সিএসআর এজেন্ডা পরিচালনাকারী এইচসিএল ফাউন্ডেশন, তাদের এই বছরের এইচসিএল টেক গ্রান্টের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। এর জুরি বোর্ডে ছিলেন রোশনি নাদার মালহোত্রা, পল্লবী শ্রফ, বি. এস. বাসওয়ান এবং সুরেশ নারায়ণনের মতন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কোম্পানি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন ঘটানোর জন্য ভারতের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) গুলিকে সাহায্য করে চলেছে এবং এই ১০ম সংস্করণের জন্য তারা ভারত থেকে প্রায় ১৩,৯২৫ নিবন্ধনও পেয়েছে। প্রতি বিভাগের তিনটি বিজেতা ₹৫ কোটি টাকা এবং ছয়টি রানার-আপ ₹২৫ লক্ষ টাকার পুরষ্কার জিতেছে।
বিজয়ীরা হলেন পশ্চিমবঙ্গের “জীবন ও জীবিকার জন্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ” প্রকল্পের জন্য লোকমাতা রানী রাসমণি মিশন, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের “ভিশন অন হুইলস” প্রকল্পের জন্য গুরুপ্রিয়া ভিশন রিসার্চ ফাউন্ডেশন, এবং “টাচ লার্ন অ্যান্ড শাইন” প্রকল্পের জন্য রাইজড লাইনস ফাউন্ডেশন। এই প্রসঙ্গে, এইচসিএলটেক গ্রান্ট জুরির (ভারত ও আমেরিকা) চেয়ারপারসন এবং এইচসিএলটেকের প্রাক্তন বোর্ড সদস্য মিসেস রবিন আব্রামস বলেন, “এইচসিএল ফাউন্ডেশন সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণ এবং টেকসই উন্নয়নের প্রচারে এনজিওগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, এইচসিএলটেক গ্রান্টের মতো উদ্যোগের সাহায্যে এই অসাধারণ সংস্থাগুলিকে সমর্থন করে, তাদের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটাতে এবং উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কারণ, এটি সমাজ গঠনেও ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।”
এইচসিএলটেক অনুদান-সমর্থিত প্রকল্পগুলিতে বর্জ্য অপসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিতরণ সহজতর করে, ৩৯,২৮৬ জন ব্যক্তিকে উপকৃত করেছে। শুধু তাই নয়, কোম্পানি জলাশয় পুনরুজ্জীবিত করা থেকে জমি শোধন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, মহিলা কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং ১৭৭,০৮০টি চারা রোপণ করেছে। এইচসিএলটেক অনুদান সম্পর্কে আরও জানতে হলে http://www.hclfoundation.org/hcltech-grant ভিজিট করুন।