ছবিটি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হলেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর নায়িকা। পরিচালক সুদীপ্ত সেন এবং অভিনেত্রী আদা শর্মা হিন্দু একতা যাত্রা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে করিমনগর যাচ্ছিলেন। সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন দুজন। আদা ও সুদীপ্তকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেমন আছেন তারা, সবাইকে আশ্বস্ত করে খবরটি জানালেন অভিনেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আদা লিখেছেন, “আমি ভালো আছি বন্ধুরা। অনেক মেসেজ পাচ্ছি, বুঝতে পারছি আপনি চিন্তিত। আমাদের দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। আমি শুধু বলতে পারি আমরা সবাই দলে আছি। বড় কোনো বিপদ হয়নি। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ.”
আদার আগে দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দিয়েছেন পরিচালক নিজেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপ্ত লিখেছেন, “আজ আমাদের করিমনগরে যাওয়ার কথা ছিল, জনসভায় তরুণ-তরুণীদের ভিড় আমাদের ফিল্ম নিয়ে কথা বলেছিল। কিন্তু হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে আমি এতদূর যেতে পারিনি। আমরা খুব বেশি দুঃখিত। করিমনগরের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আমাদের মেয়েদের রক্ষা করার জন্য ছবিটি তৈরি করেছি। দয়া করে পাশে থাকুন।”
এদিকে, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বক্স অফিসে ১০০ কোটির অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষণা কিংবা শো বাতিলেও রোখা যায়নি এ ছবির দৌড়। বিতর্কের ঝড়ঝাপটার মধ্যেও বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে সুদীপ্তর ছবি। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে শালিনী উন্নিকৃষ্ণনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অদা শর্মা। নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিন যখন আমি ছবির চিত্রনাট্য শুনেছি, আমি বুঝতে পেরেছি, এটা এক নিরীহ মেয়ের গল্প। যে আইএসিস-এর মতো একটা দলের প্যাঁচে পড়ে গিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদের এই গল্প ভয়ঙ্কর, তবে কাউকে না কাউকে তো এই গল্পটা বলতেই হত।’’ এর আগেও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এখনও মনে করছেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ একটা প্ররোচনামূলক ছবি, তাঁরা গুগলে একটু খুঁজে দেখুন। সত্যিটা জানতে পারবেন।’’
এরই মধ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বক্স অফিসে 100 কোটি ছাড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা বা প্রদর্শনী বাতিল করেও থেমে যায়নি চলচ্চিত্রের দৌড়। বিতর্কের ঝড় সত্ত্বেও সুদীপ্তর ছবিটি বক্স অফিসে জমজমাট ব্যবসা করছে। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-তে শালিনী উন্নিকৃষ্ণনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আদা শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “প্রথম যেদিন ছবিটির স্ক্রিপ্ট শুনেছিলাম, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি একটি নিষ্পাপ মেয়ের গল্প। এটি আইএসআইএসের মতো একটি দলের হাতে পড়ে। সন্ত্রাসবাদের এই গল্পটি ভয়ঙ্কর, কিন্তু এই গল্পটি ছিল। তিনি বলেন, ‘যারা এখনও মনে করেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ একটি প্ররোচনামূলক ছবি, তারা গুগলে সার্চ করুন। আপনি সত্য জানতে পারবেন।”