‘ইচ্ছা করছে ওঁর বিরুদ্ধে মামলা করি’, নেহার উপর চটলেন ফাগ্লুনী

৯-এর দশক, ফাল্গুনী পাঠকের গাওয়া ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই’ গানটি মনে কমবেশি প্রায় সব অল্পবয়সীদের মনে গেঁথে গিয়েছিল। যাঁরা সেই মিউজিক ভিডিয়ো দেখেছিলেন, আজও তাঁদের ফাল্গুনী পাঠকের এই গানের কথা মনে পড়লে চোখে ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য। যেখানে কলেজ পড়ুয়াদের আয়োজনে পুতুল নাচ, ফ্যাশান প্রতিযোগিতার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল মিষ্টি প্রেমের গল্প। সম্প্রতি ফাল্গুনীর ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই’ গানটিই নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যেটি গেয়েছেন নেহা কক্কর। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ও সজনা’। সম্প্রতি, নেহার গাওয়া এই মিউজিক ভিডিয়ো মুক্তি পাওয়ার পরই বেজায় বিরক্ত নেট নাগরিকদের একাংশ। চটেছেন ফাল্গুনী পাঠক নিজেও।

নেহার গাওয়া ‘ও সজনা’ মুক্তি পেতেই গানটি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। নেট নাগরিকদের এমনই কিছু মন্তব্য ইনস্টাস্টোরিতে শেয়ার করেছেন খোদ ফাল্গুনীও। এক নেটনাগরিক লিখেছেন, ‘আমি অবাক হলাম, হঠাৎ নেহার কেন মনে হল এই গানটি রিমেক করে, ক্লাসিক বিষয়টি নষ্ট করার।’ কেউ লিখেছেন, ‘নেহার এই গানটি গাওয়ার সাহস কী করে হল! আর কত জিনিস নষ্ট করবেন!’ কারোর প্রশ্ন, ‘আপনি কেন এটা করলেন? আমাদের প্রিয় গানটা নিজের গলায় গেয়ে আমাদের উপর অত্যাচার করা বন্ধ করুন।’ কেউ লিখেছেন, ‘আমার ফাল্গুনী পাঠকের গানটিই পছন্দ। ওই গানটার সঙ্গে নাচ করতে করতেই বেড়ে উঠেছি। নেহা কক্করের ও সজনা দেখে কেঁপে উঠলাম।’ ইনস্টাস্টোরিতে নেট নাগরিকদের এই মতামত শেয়ার করে ফাল্গুনী বলেন, ‘পুরনো গানটির প্রতি মানুষের এই ভালোবাসা দেখে আপ্লুত।’

তাঁর গাওয়া এই গান ও মিউজিক ভিডিয়োটি নতুনভাবে তৈরি করা প্রসঙ্গে বিরক্ত ফাল্গুনী বলেন, ‘আমার ইচ্ছা করছে ওঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে। এবং সেটা করতে পারলে খুশি হতাম। তবে এই গানের সত্ত্ব আমার নয়, তাই এটা করতে পারছি না।’ ফাল্গুনী জানান, এই গানটি নতুন করে তৈরি করার আগে নির্মাতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাঁর কথায়, ‘নাহ, এখনও কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’যদিও এনিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি নেহা কক্কর, তানিস্ক বাগচী কিংবা নির্মাতা সংস্থার কেউ। প্রসঙ্গত, ফাগ্লুনী পাঠকের গাওয়া  ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই’ গানটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৯ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *