প্রসিদ্ধ গীতিকার জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ৫০৯ (একজন মহিলার শালীনতার অবমাননা) ধারায় মামলা করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। খবর সূত্র অনুসারে আদালত তাঁকে ৫ আগস্টে হাজির হওয়ার জন্য আহ্বান পাঠিয়েছিল আদালত। অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন এবং একজন মহিলার শালীনতার অবমাননা করার জন্য জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে কেস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
২০২০ সালে ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানের কঙ্গনা জানিয়েছিলেন যে, জাভেদ আখতার তাঁকে বলেছিলেন, তিনি যদি হৃতিকের কাছে ক্ষমা না চান তবে রোশানরা তাঁকে জেলে পাঠাবে তখন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। কঙ্গনার সেই কথার ভিত্তিতে, আদালতে মানহানির মামলা করেন জাভেদ। এরপর গীতিকারের নামে পালটা মামলা করেন কঙ্গনা। কঙ্গনার আনা অভিযোগের যাচাইকরণ ও কঙ্গনার বোন রঙ্গোলি চন্দেলের বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত আইপিসি-র ৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় কেস এগিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে তাঁর সহ অভিনেতা হৃতিক রোশনের অনেক বড় ঝামেলা হয়েছিল ‘প্রেম-সম্পর্ক’কে ঘিরে। ঝগড়া এমন একটা পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল যে সেখান থেকে তৈরি হয়েছিল আইনি জটিলতা। তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছিল ও হুমকিদেওয়া হয়েছিল।জাভেদ নাকি সেই সময় বলেছিলেন ‘যদি আপনি হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা না চান, তবে আপনাকে আত্মহত্যা করতে হবে। কারণ রোশন পরিবার আপনাকে জেলে পাঠাবে। ওঁদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। তাঁরা এটাও জানেন যে, মামলাটি সম্পূর্ণ তাদের হাতেই রয়েছে।’