প্রথম ১০টি বাংলাদেশী স্টার্ট-আপের ৫ দিনের ভারত সফরের মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ৫০ স্টার্ট-আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সূচনা হয়েছে। তাদের সফরের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম থেকে শিক্ষালাভ করা। বাংলাদেশের এই স্টার্ট-আপগুলির মধ্যে ছিল ই-কমার্স, হেলথ, ট্রান্সপোর্ট ও লজিস্টিক্স, এনার্জি, এডুকেশন ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট।
ভারত সফরকালে বাংলাদেশী শিল্পোদ্যোগীদের ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিতি ঘটানো হয়েছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন, যেমন ‘এস্টাবলিশিং আ স্টার্ট-আপ’, ‘বিজনেস মডেল ক্রিয়েশন’, ‘রোল অব ইনকিউবেটর’, ‘মার্কেটিং অব প্রোজেক্টস অ্যান্ড সার্ভিসেস’, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’, ‘ডেটা প্রোটেকশন’, ‘স্টার্ট-আপ ইভ্যালুয়েশন’ ও ‘মেথডস টু সিকিয়োর ফান্ডিং’।
ভারত থেকে প্রত্যাবর্তনের পর তাদের নিয়ে একটি ‘ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশন’ আয়োজিত হয় বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে। হাই কমিশনার উভয় দেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের উল্লেখ করে সেগুলির ইনোভেশন ও টেকনোলজির ওপরে ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব প্রদানের কথা জানান। এছাড়া, উত্তরপূর্বাঞ্চল-সহ ভারতের বাজারে বাংলাদেশী স্টার্ট-আপগুলির সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। এই কর্মসূচির পর বাংলাদেশের আরও ৪০টি ও ভারতের ৫০টি স্টার্ট-আপ পরস্পরের দেশে সফর করবে এবং সহযোগিতা, ব্যবসায়িক সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করবে।