মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ১৪ ফেব্রুয়ারি কোভিড সংক্রান্ত একটি ভার্চুয়াল গ্লোবাল অ্যাকশন মিটিং-এর আয়োজন করেন। মিটিং-এ ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। উল্লেখ্য, বৈঠকে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে, ভারতীয় প্রতিনিধি হিসাবে, এফএস শ্রিংলা ভারতের বৈশ্বিক কোভিড-১৯-র প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক পয়েন্ট তুলে ধরেন।
ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আজ অবধি, ভারত চারটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে–কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, কোভোভ্যাক্স এবং জ্যানসেন। যা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দ্বারা অনুমোদিত। এছাড়া আরও তিনটি ভ্যাকসিন যথাক্রমে—সিওআরবি ইজেডওয়াইসিওভি-ডি এবং জিনোভা, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ভারতের লক্ষ্য চলতি বছরে ৫ বিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করা।এফএস শ্রিংলা বলেন, কোভিড মোকাবিলায় বিশেষত টিকারণের ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডোজ দেওয়া হয়েছে এবং ৭০শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
এছাড়া ডিজিটাল সার্টিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম কো-উইন দৈনিক প্রায় ২৫ মিলিয়ন টিকা পরিচালিত করেছে। এছাড়াও, ভারত ইতিমধ্যেই ৯৭টি দেশে ১৬২ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং ২০২২ সালে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এক বিলিয়নেরও বেশি ডোজ সরবরাহ করার লক্ষ্য রয়েছে।