উদয়পুরে রবিবার ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি শুরু হল প্রথম শেরপা মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে, যার নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের জি২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত। উদয়পুরেই হচ্ছে প্রথম উচ্চপর্যায়ের জি২০ শেরপা মিটিং – ৪ থেকে ৭ ডিসেম্বর, যেখানে ভারতের ঐতিহ্যপূর্ণ সংস্কৃতি ‘অতিথি দেবো ভব’ তুলে ধরা হয় জি২০ পরিবারের সদস্যদের কাছে। টুইটারে অমিতাভ কান্ত লিখেছেন, রাজকীয় রাজ্য রাজস্থান তার আতিথেয়তা ও ইতিহাসের জন্য জগৎবিখ্যাত। এখানে #জি২০ইন্ডিয়া শুরু হওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ রাজস্থানের উদয়পুরেই প্রদর্শিত হচ্ছে ভারতীয় ঐতিহ্য ‘অতিথি দেবো ভব’।
চারদিনের অনুষ্ঠানের প্রথমদিন হয়েছে ‘ট্রান্সফর্মিং লাইভস: অ্যাক্সিলারেটিং ইমপ্লিমেন্টেশন অব এসডিজিস’ (Transforming Lives: Accelerating Implementation of SDGs) থিমের ওপর এক প্যানেল ডিসকাশন। এরপরই ছিল প্রতিনিধিবর্গের নেটওয়ার্কিং রিসেপশন। দ্বিতীয় দিন (৫ ডিসেম্বর) অমিতাভ কান্ত প্রতিনিধিবর্গের সামনে ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি বিষয়ক এক সার্বিক চিত্র তুলে ধরবেন। এরপর থাকবে অর্থমন্ত্রকের ইকনোমিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সচিব অজয় শেঠের ওভারভিউ। তারপর, টেকনোলজিক্যাল ট্রান্সফর্মেশন বিষয়ে শেরপা মিটিংয়ের প্রথম বৈঠক হবে। দ্বিতীয় অধিবেশনের আলোচ্য বিষয় ‘গ্রীন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লাইফস্টাইল ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট’। অন্যান্য অধিবেশনে আলোচিত হবে: অ্যাক্সিলারেটেড, ইনক্লুসিভ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্ট গ্রোথ, মাল্টিল্যাটারালিজম অ্যান্ড থ্রীএফ’স (ফুড, ফুয়েল ফার্টিলাইজার), উওমেন-লেড ডেভেলপমেন্ট, ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার, এবং ভারতের জি২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত কর্তৃক ‘কনক্লুশন’ ও ‘ওয়ে ফরওয়ার্ড’। শেরপা বৈঠকে অন্যান্য যেসব বিষয় আলোচনায় উঠে আসবে সেগুলির মধ্যে থাকছে – আইএমএফ প্রতিনিধিদের দ্বারা ‘গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিয়োনাল ইকনোমি: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ ও ‘চায় পে চর্চা’।
জি২০ প্রতিনিধিরা উদয়পুরে নৌকাবিহারের মাধ্যমে পরিদর্শন করবেন রাজস্থানের ঐতিহ্যমন্ডিত স্থানসমূহ এবং সাংস্কৃতিক সফর করবেন মানেকচক, শিল্পগ্রাম ক্র্যাফটস ভিলেজ, কুম্বলগড় ফোর্ট ও রনকপুর টেম্পল কমপ্লেক্সে। এই উপলক্ষে, জি২০ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে একটি চারদিনের বিশেষ কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে বিদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের জন্য।