সিনেমা হলে আসার পূর্বেই ভালো খারাপ সব নিয়ে মিশ্র মন্তব্যে ভেসেছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমার ট্রেলার। শুক্রবার রিলিজ হওয়ার পরেও সেই চিত্রের বিশেষ একটা নড়চড় হয়নি বললেই চলে। নেটিজেনদের মধ্যে কয়েকজন সিনেমাটির মাধ্যমে মূল ঘটনাটি কি বয়ান করতে চাওয়া হয়েছে বলে বিভ্রান্ত থাকলেও, অনেকেই হিন্দি সিনেমার থেকে এই পর্যায়ের এনিমেশন পেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে একাধিক পোস্ট ছেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে এই সিনেমা নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করতে ছাড়েনি কঙ্গনা রানাউত। রণবীর-আলিয়ার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে প্রযোজকদের তুলোধনা করে সিনেমাটিকে ” বিপর্যয় ” বলে সম্বোধনে করেন।
এমনকি তিনি বলেন, “৬০০ কোটি টাকা পুড়িয়ে ছাই করল অয়ন।” কুইন তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে করণ জোহরকে নিশানা করে লেখেন, “করণ জোহরের মতো লোকদের তাদের আচরণের জন্য প্রশ্ন তোলা উচিত। তিনি তার চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্টের চেয়ে সবার যৌনজীবন নিয়ে বেশি আগ্রহী। তিনি নিজেই রিভিউ, তারকা এবং টিকিট কেনেন। এখন তিনি হিন্দুধর্ম এবং দক্ষিণী তরঙ্গে ভাসার চেষ্টা করেছেন।”
দক্ষিণ তারকা নাগার্জুনও ব্রহ্মাস্ত্রের একটি অংশে অভিনয় করেছেন এবং সম্প্রতি জুনিয়র এনটিআর ও এসএস রাজামৌলিকে হায়দরাবাদে ছবিটির প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল৷ এই নিয়ে কঙ্গনা কটাক্ষ করে বলেন, “তারা সবকিছুই করবে কিন্তু যোগ্য লেখক, পরিচালক, অভিনেতা এবং অন্যান্য প্রতিভাকে নিয়োগ করবে না। যারা এই সিনেমাটিকে ধসে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারতেন, তাদের কথা কেউ শুনল না।”
পরিচালক অয়ন মুখার্জীর বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উল্ল্যেখ করেন, যাঁদের অয়নকে দারুণ পরিচালক মনে হয়, তাদের সবার জেল হওয়া উচিত।”
বলাই চলে কঙ্গনা রানাউত যেখানে, বিতর্ক সেখানে। অন্তত, গত কয়েক বছরে কঙ্গনা নিজের যা রূপ তুলে ধরেছেন তাতে কঙ্গনা বিতর্ক খুঁজে বেড়ান না, বিতর্ক কঙ্গনাকে খুঁজে বের করে তা বোঝা দায়।