প্রয়াত হলেন সত্যজিতের ২১টি ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফার সৌম্যেন্দু রায়। সত্যজিৎ রায় তাঁকে ‘রায়’ সম্বোধন করতেন। বুধবার দুপুর ১২.৩০টা নাগাদ তিনি বালিগঞ্জের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘ দিন বার্ধ্যক্যজনিত সমস্যার ভুগছিলেন বলে খবর।
সত্যজিৎ পরিচালিত ‘পথের পাঁচালী’ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন সুব্রত মিত্র। এই ছবিতেই ক্যামেরা কেয়ারটেকার হিসাবে ইউনিটে যোগদান করেন সৌম্যেন্দু। পরে ১৯৬০ সালে সত্যজিৎ নিজে তাঁকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তথ্যচিত্রের ক্যামেরার দায়িত্ব দেন। তার পর দু’জনের সেই সম্পর্ক ১৯৯২ সালে সত্যজিতের প্রয়াণ পর্যন্ত অটুট ছিল। সত্যজিতের ‘তিন কন্যা’, ‘অভিযান’, ‘চিড়িয়াখানা’, ‘গুপী গায়েন বাঘা বায়েন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র মতো ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্ব সামলেছিলেন সৌম্যেন্দু । পরবর্তী সময়ে ‘সোনার কেল্লা’, ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’তেও তাঁর ক্যামেরার কাজ দর্শক এখনও মনে রেখেছেন। সত্যজিৎ ছাড়াও তপন সিংহ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ছবিতেও ক্যামেরা সামলেছিলেন সৌম্যেন্দু ।
সৌম্যেন্দু রায় অবিবাহিত ছিলেন। সঙ্গী ছিলেন বাড়ির দুই পরিচারক। ২০০০ সাল থেকে সেই ভাবে আর ক্যামেরার কাজ করেননি। তবে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংস্থায় ছাত্রদের চলচ্চিত্র বিষয়ক পাঠ দিয়েছেন। পেয়েছেন দেশ-বিদেশের একাধিক সম্মান। সৌম্যেন্দু রায়ের প্রয়াণে টলিপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।