প্রিডায়াবিটিস রুখতে জীবনধারায় বদল

যখন মানুষের ব্লাড সুগার লেভেল স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে যায়, কিন্তু তা এমন বেশি নয় যে তা ডায়াবিটিস হিসেবে নির্ণীত হতে পারে, সেইরকম অবস্থা হল প্রিডায়াবিটিস। প্রিডায়াবিটিসের ফলে রোগীদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবিটিস, হার্ট ডিজিজ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।

প্রিডায়াবিটিস নির্ণয় করা যায় ফাস্টিং প্লাজমা গ্লুকোজ টেস্ট, ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট ও হিমোগ্লোবিন এ১সি টেস্টের মাধ্যমে। এছাড়াও প্রিডায়াবিটিস স্তরে দেখা যায় এরকম আরও অনেক ডায়াবিটিস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ অর্জুন বৈদ্য এপ্রসঙ্গে জানান, রোগীর মধ্যে কোনও পূর্বলক্ষণ ছাড়াই প্রিডায়াবিটিস রয়েছে কিনা তা নির্ণয় করা জরুরি। কিছু রিস্ক-ফ্যাক্টরও রয়েছে, যেগুলির দ্বারা প্রিডায়াবিটিস চিহ্নিতকরণ হতে পারে, যেমন শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বয়স ৩০ বা তার বেশি, টাইপ ২ ডায়াবিবিটিসের ফ্যামিলি হিস্ট্রি, অলস জীবনযাপন ও মহিলাদের জিডিএম থাকার ‘প্রিভিয়াস হিস্ট্রি’।

প্রিডায়াবিটিস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খ্যদ্যগ্রহণ, সক্রিয় জীবনযাপন, বাড়তি ওজন হ্রাস করা, ধূমপান ত্যাগ করা ও প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসার দরকার বলে জানান, ডাঃ বৈদ্য। তাঁর মতে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে প্রিডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং টাইপ ২ ডায়াবিটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করার জন্য কারও প্রিডায়াবিটিস নির্ণীত হলে তার উচিত নিয়মিতভাবে চিকিৎসিত হওয়া এবং খাদ্য ও শারীরিক সক্রিয়তা-সহ লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *