ইংরেজিতে মহালয়া শুনুন সুপ্রিয় সেনগুপ্তের কন্ঠে

 আজ মহালয়া! পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা।সেই শুভক্ষণ বয়ে আনে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠ। আশ্বিনের শারদ প্রাতে রেডিওতে মহালয়া না শুনলে পুজো শুরু হয় না বাঙালির। কিন্তু যে বাঙালি কর্মসূত্রে প্রবাসে থাকেন? চিনবে না? জানবে না, বাঙালির এই চিরকালীন আবেগকে? সেই সূত্র ধরেই বাচিকশিল্পী সুপ্রিয় সেনগুপ্তের ভাবনার সূত্রপাত।  মহালয়া সাজুক ইংরেজি ভাষাতেই। এমন ভাবনা প্রাথমিকভাবে উপেক্ষিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবু থেমে যাননি সুপ্রিয়। কর্পোরেটের চাকরি থেকে বেঁচে যাওয়া সময়টি নিয়োজিত করেছিলেন নিজের ভাবনায়। অনুপ্রেরণা ছিল তাঁর মা।

ভয় ছিল, ইংরেজিতে মহালয়া মানে কিংবদন্তির মুখোমুখি হওয়া। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন কিংবন্তির সূষ্টিকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে। তাইতো গত পাঁচ বছর ধরে তিনি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাণী বাবু, পঙ্কজ মল্লিক, বীরেন্দ্র বাবুর মহালয়াকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে। ভাষার অন্তরায় ভুলিয়ে দিতে। এত বছরের প্রচেষ্টায় তিনি স্তোত্র বাদে বাকি অংশটুকু ইংরেজিতে অনুবাদ করে পাঠ করেছেন। চেষ্টা চলছে গানগুলোও যাতে ইংরেজিতে করা যায়।সুপ্রিয় বাবু জানিয়েছেন, ‘দেবাশিষ বসু, জগন্নাথ বসু, উর্মিমালা বসু, কাজল সুর– অনেক দিকপাল শিল্পীর প্রশংসা পেয়েছি। তখন নিজেকে মনে হয়েছে, যাইহোক আমি ভুল করছি না। মায়ের আর্শীর্বাদ আছে। আশাকরি সফল হব’।

ছ’বছর ধরে মহালয়াকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সুপ্রিয়। আগামী দিনে তা আরও নতুন দিক দেখাবে এমনটাই আশা বাচিকশিল্পী মহলে। তাঁর এই প্রয়াসে সঙ্গে আছেন সঙ্গীতশিল্পী সংযুক্তা চক্রবর্তী, সুবীর চন্দ ও ক্যামেরায় প্রবাল চক্রবর্তী। ইংরেজিতে এই মহালয়া শোনা যাবে ‘কারিগরি কবিয়াল’ ইউটিউব চ্যানেলে।

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *