মেডিকা ক্যান্সার হসপিটালে চালু হল হাই-এন্ড রেডিয়োথেরাপি মেশিন ‘হ্যালসিয়ন’, যার সঙ্গে রয়েছে ইমেজ-গাইডেড রেডিয়েশন থেরাপি ও ইন্টেনসিটি-মডিউল্ড রেডিয়েশন থেরাপি। দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থার ঘাটতি মেটাতে মেডিকা ক্যান্সার সেন্টার নানারকম আধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা চালু করেছে, যার অন্যতম হল হ্যালসিয়ন মেশিনের অন্তর্ভুক্তি। এরফলে মেডিকা শুধু উত্তরপূর্ব ভারতের জন্য নয়, প্রতিবেশী দেশগুলির জন্যও সেরা চিকিৎসাকেন্দ্র হয়ে উঠলো।
মেডিকা গ্রুপ অফ হসপিটালস ও ফিকি (FICCI) হেলথ সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ অলোক রায় জানান, দেশের অধিকাংশ উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামো ক্যান্সার চিকিৎসার পক্ষে সেরকম উন্নত নয়। তাঁর আবেদন, মানুষ যেন ক্যান্সারকে অবহেলা না করে বেশি দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই চিকিৎসার আওতায় আসেন।
হ্যালসিয়ন রেডিয়েশন থেরাপি সিস্টেমের থেরাপির লক্ষ্য হল টিউমারের পাশের সুস্থ্ টিস্যুগুলি যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আগেকার রেডিয়েশন থেরাপির তুলনায় এই আধুনিক চিকিৎসা এটা নিশ্চিত করে যে চিকিৎসা যেন কয়েকটি ধাপেই সমাপ্ত হয়। ইন্টেলিজেন্ট অটোমেশনের ব্যবহারে এই থেরাপি চিকিৎসার সময়কাল হ্রাস করে ও রোগীর পক্ষে অধিকতর সুবিধাজনক হয়। হ্যালসিয়ন সিস্টেমের একাধিক সুবিধার মধ্যে রয়েছে অটোমেটেড ট্রিটমেন্ট, রোগীর পক্ষে আরামদায়ক, অনকোলজি টিমের ব্যবহারের পক্ষে সহজ, ‘অ্যাক্সিলারেটেড ইনস্টলেশন টাইমফ্রেম’। হ্যালসিয়ন সিস্টেমের উদ্ভাবনী ডিজাইনের কারণে তা ক্লিনিসিয়ানদের পক্ষে দ্রুত চিকিৎসার সু্যোগ দেয়।
মেডিকা ক্যান্সার হসপিটাল দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের একমাত্র ক্যান্সার হসপিটাল। ৫০-বেডের এই হাসপাতালের আওতায় রয়েছে উত্তরবঙ্গ, সিকিম, ভুটান, নেপাল ও পূর্ব বিহার। শিলিগুড়ি থেকে এই হাসপাতালের দূরত্ত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। এখানে যেসব পরিষেবা পাওয়া যায় সেগুলির মধ্যে রয়েছে রেডিয়েশন অনকোলজি, সার্জিক্যাল অনকোলজি ও মেডিক্যাল অনকোলজি।