সারকোপেনিয়ার সাথে মোকাবিলা করার জন্য পেশির সুস্থ্যতা অপরিহার্য

সারকোপেনিয়া, এমন একটি ব্যাধি যা একজন ব্যক্তির বয়সের সাথে সাথে পেশির ভর এবং শক্তির ক্ষতি করে, ফ্র্যাকচার এবং অসুস্থতা বা অস্ত্রোপচার থেকে পুনরুদ্ধারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্যাধিটি সাধারণত ৪০ বছর বয়স থেকে শুরু করে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি দশকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত পেশী ভর ক্ষয় করে। একটি মাল্টিকন্টিনেন্টাল সমীক্ষা অনুসারে, ১৭.৫% ভারতীয়রা এই পেশিজনিত রোগে ভুগছেন। এটি এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি। অ্যাবটের পুষ্টি বিসনেস এর চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ের প্রধান ড. ইরফান শেখ পেশীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে বলেছেন যে আমাদের সারকোপেনিয়ার প্রভাব কমাতে পেশীর স্বাস্থ্য পরিমাপ ও পুনর্নির্মাণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

বর্তমানে, সারা বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত, এবং আগামী ৪০ বছরে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।সারকোপেনিয়া, সনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরীক্ষা করার জন্য আপনি একটি বয়াম খোলার চেষ্টা অথবা একটি কমলা লেবু চেপে ধরতে পারেন যা হ্যান্ডশেকের মতোই সহজ। এই পরীক্ষাটি করার সময় যদি যদি কোনো রকমের পার্থক্য অনুভব করেন তাহলে নিরাময়ের জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।

সার্কোপেনিয়া পরীক্ষার জন্য একটি চেয়ার চ্যালেঞ্জ সাহায্য করতে পারে, যা ৪৩ সেমি (১.৪ফুট) উচ্চতার একটি চেয়ারে আপনি ৫টি সিট-আপ করতে যতটা সময় নেবেন তা পেশীর বয়স নির্ধারণ করতে পারে। এই চেয়ার চ্যালেঞ্জ পরীক্ষাটি কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানতে www.muscleagetest.in এ ভিসিট করুন।শরীরে শক্তির মাত্রা বজায় রাখার জন্য রোগীদের নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা শরীরে শস্য, ফল এবং দুগ্ধজাতীয় খাবারের মাধ্যমে ঘন নিউট্রিশনের যোগান দেবে। নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এবং সিঁড়ি বেয়ে ওঠার মতো সাধারণ ক্রিয়াকলাপ পেশিকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন প্রোটিন চাহিদা চিহ্নিত করে তা পূরণ করা দরকার এবং প্রতিদিনের ডায়েটে HMB এর মতো পুষ্টির সাপ্লিমেন্টগুলি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করা উচিত যা রোগীদের সার্কোপেনিয়া নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *