ভারতে ক্রমাগত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং ডিসলিপিডেমিয়ার মতো নন-কমিউনিকেবল ডিসিজেস-এর (এনসিডিএস)/ [অসংক্রামক রোগের] ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বর্তমানে ভারতে ২০ বছরের বেশি বয়সী ৩৩,৫৩৭ জন শহুরে এবং গ্রামাঞ্চলে ৭৯,৫০৬ জন এই রোগের সাথে লড়াই করছেন। এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রোগীদের একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অ্যালমন্ড এমন একটি খাবার যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
অ্যালমন্ড স্বাস্থ্যকর চর্বি, ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো ১৫টি প্রয়োজনীয় পুষ্টির প্রাকৃতিক উৎসে সমৃদ্ধ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আলমন্ড কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য , কোলেস্টেরল হ্রাস, রক্তে শর্করা এবং ওজন ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়াও, অ্যালমন্ড ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা দূর করতে পারে।
ভারতে অসংক্রামক রোগের সাম্প্রতিক বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এবং সেলিব্রিটি মাস্টার প্রশিক্ষক, ইয়াসমিন করাচিওয়ালা বলেন, “নিজেকে সুস্থ্য রাখার জন্য প্রতিদিন এক মুঠো অ্যালমন্ড খাওয়া সুস্বাথ্যের প্রতি একটি ছোট তথাপি দুর্দান্ত শুরু হতে পারে। অ্যালমন্ড হল প্রোটিন, ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস এবং এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে যা হার্টের পক্ষে ভাল। তাই, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমি সারাদিনে একমুঠো অ্যালমন্ড খাওয়ার পরামর্শ দিই।”