রাখির দিন প্রয়াত হলেন অন্যতম জনপ্রিয় গীতিকার কিংশুক চট্টোপাধ্যায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভক্তমহলে। বাংলা সংগীত জগতে কিংশুকের গাওয়া ‘ও চাঁদ তোর বান্ধবীদের সঙ্গে যাব’ থেকে শুরু করে ‘ও আমার বউদিমণির কাগজওয়ালা’ একাধিক সুপারহিট গান লিখেছেন তিনি। কিংশুকের লেখা গান গেয়েছেন শিলাজিৎ থেকে শুরু করে সিধুও। ‘এসো হে কেষ্ট’ গানটিও বেরিয়েছে তাঁর কলম থেকেই। মদন মিত্র অভিনীত ‘ওহ! লাভলি’-র জন্যও গান লিখেছেন তিনি।
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে অনেকদিন থেকেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু সেই সময় অবশ্য সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে আবার বিনোদন জগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন কিংশুক। সোমবার আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এই লড়াইয়ে পাশে ছিলেন কিংশুকের পরিবার এবং বন্ধুরা। কিন্তু, পরিজনদের ভালোবাসা, ভক্তদের প্রার্থনা বিফল করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ তাঁর অনুরাগীরা।
সঙ্গীতশিল্পী সৌম্য বসুও ফেসবুকে শোকপ্রকাশ করেছেন। কিংশুক স্মৃতি তুলে ধরেছেন তিনি তাঁর লেখাতে। তাঁর মেয়ের প্রথম গানের অ্যালবামের মাধ্যমে ফের গান লেখা শুরু করেন কিংশুক, স্মৃতির পাতা থেকে তুলে আনেন তাও। শোকপ্রকাশ করেছেন অন্যান্য শিল্পীরাও।