পেপয়েন্ট ইন্ডিয়া উত্তরপূর্ব ভারতে মাইক্রো-এটিএম (এম-এটিএম) ব্যবস্থা চালু করেছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষজনকে এটিএম বা ব্যাংকে যেতে হলে হলে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়। তাই এইসব এম-এটিএম গ্রামীণ এলাকার পক্ষে খুবই উপযোগী হবে। এই বহণযোগ্য মেশিনগুলি স্থানীয় কিরানা দোকানে বসানো যায় এবং দোকানের ক্যাশবক্স ব্যবহার করে এগুলি চালু রাখা যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকার কারণে যখন বড় এটিএম-গুলি ব্যবহারযোগ্য থাকেনা, তখনও এম-এটিএম’গুলি থেকে অর্থ লেনদেন করা সম্ভব। চিপ-রিডিংয়ের মতো আধুনিক ব্যবস্থা সমন্বিত অ্যাডভান্সড ও পোর্টেবল এম-এটিএম প্রথাগত এটিএম-গুলির মতো সবরকম সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম। রিটেল শপগুলি থেকে দ্রুততার সঙ্গে অর্থ সংগ্রহের জন্য এগুলির সঙ্গে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের সংযোগ ঘটানো যায়।
এক পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে পেপয়েন্ট উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রায় ৯০০ এম-এটিএম স্থাপন করেছে এবং ২০২২ সালের মার্চ নাগাদ এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০০-৭০০০ করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। চা-বাগানের শ্রমিকদের সুবিধার্থে প্রাথমিক পর্যায়ে আসামে এম-এটিএম স্থাপন করেছে পেপয়েন্ট ইন্ডিয়া। নিকটবর্তী এলাকায় এটিএম বা ব্যাংকের অনুপস্থিতির কারণে তাদের পারিশ্রমিকের টাকা তুলতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। আসামে কমবেশি ৮৪১টি চা-বাগান রয়েছে যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। সেইকারণে, ব্যাংকিং পরিষেবার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পেপয়েন্ট আসামের বড় চা-বাগানগুলিতে এম-এটিএম স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।