কুমোরটুলির রাজকুমার – শান্তনু মহেশ্বরী

ফটোগ্রাফারদের জন্য যে পোজটা দিলেন শান্তনু মহেশ্বরী সেটা খাস কলকাতার ভাসান নাচের মুদ্রা। যে নাচের শুরু কুমোরটুলির গঙ্গার পাড় থেকে। সেই পাঁচ বছর বয়সে। জন্ম ও বেড়ে ওঠা সুতানুটির সরু গলিতে ।তাই এ শহর জানে শান্তনুর সব কিছু। ‘কুমোরপাড়ায় আমাদের বাড়ি। একটু আধটু ঠাকুর গড়তে জানি আমিও ।’ বাংলা উচ্চারণে হালকা অবাঙালি টান। সেই আদলেই কথা বলে ‘রীতেশ কুমার’। প্রতীম ডি গুপ্তর নতুন ছবি ‘চালচ্চিত্র’র অবাঙালি পুলিস অফিসার।

 ‘এই প্রথম আমি বাংলা ছবিতে অভিনয় করলাম। রীতেশ কুমারের সংলাপ বাংলায় হলেও একটা মাড়োয়ারি টান আছে’, খুশিতে উপচে পড়ছেন শান্তনু। ‘আমি স্বপ্নেও ভাবিনি সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবিতে অভিনয় করব, তেমন এটাও কল্পনা করিনি বাংলা ছবিতে কাজ করব।’ শান্তনু ফের হারিয়ে যান কৈশোরের কুমোরটুলিতে। কলকাতার আনাচে কানাচে শ্যুটিং চলাকালীন একবারও নিজের বাড়ি বিনায়ক ভবন বা বেড়ে ওঠার কুমোরটুলিতে যেতে পারেননি। শান্তনু বললেন, ‘একটাই তৃপ্তি। ইউনিটের সবাই বাঙালি। বাংলা বড় মিষ্টি ভাষা। সবাই বাংলায় কথা বলছেন।’ 

সেন্ট টমাস কলেজের প্রাক্তনী ২০১১তে কলকাতা ছেড়েছিলেন। মুখে হাসি নিয়ে বললেন, ‘কলকাতায় ঠাকুরের ভাসানে যে নাচ হয়, সেটাই নাচ শেখার সেরা মঞ্চ। আমি তো ওই নাচে মাস্টার ডিগ্রি করে ফেলেছিলাম। সেইসঙ্গে নানা ধরনের নাচও শিখেছিলাম। সেই শিক্ষা সম্বল করেই গেলাম বলিউডে।’ কোরিওগ্রাফার হতে চেয়েছিলেন শান্তনু। তাই ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র ‘আফসান রাজাক’কে দেখে চমকে গিয়েছে বলিউড। বদলেছে শান্তনুর জগতও। সেকথা স্বীকার করলেন তিনি, ‘এখন সবাই বিশ্বাস করতে শিখেছে আমি অভিনয়টাও করতে পারি। নিজের দক্ষতার প্রতি আস্থা থাকলে সুযোগ আসবেই।’  ‘ক্যাম্পাস বিচ’ এর দ্বিতীয় সিজিন, নীরজ পান্ডের ‘অর ওয় মে ক্যায়া দম থা’ সদ্য শেষ করেছেন শান্তনু। প্রতীম ডি গুপ্তর সঙ্গে এর আগে ‘টুথ পরি’তে কাজ করেছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর কেরিয়ারে ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ মাইলস্টোন।

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *