পুষ্টিগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে শিশুদের বৃদ্ধির প্রচার

শৈশব হল  বৃদ্ধি এবং বিকাশের মূল সময়, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুরা বিভিন্ন কারণে তাদের বৃদ্ধি দেরিতে হয়। পিতামাতারা প্রায়শই দুশ্চিন্তায় ভোগেন কেন তাদের সন্তান স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে না। এটি কখনও কখনও অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।

অপর্যাপ্ত পুষ্টির কারণে স্টান্টেড বৃদ্ধি ঘটে, যা বৃদ্ধির ব্যাঘাত, বহুদিন অসুস্থতা বা পরিবেশগত কারনে হতে পারে। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে, পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১৪৯ মিলিয়ন স্টান্টড শিশু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট দেখায় যে বিশ্বজুড়ে শৈশব স্টান্টের-এর প্রায় এক- তৃতীয়াংশ ভারতে রয়েছে যেখানে ৪০.৬ মিলিয়ন শিশু পাঁচ বছরের কম বয়সী স্টান্ট করেছে।     

ক্যাচ আপ গ্রোথের সংজ্ঞা

শিশুদের স্টান্টেড বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল অপুষ্টি। শিশুরা বেশিরভাগ সময় পর্যাপ্ত পুষ্টির গ্রহনের পরে বৃদ্ধি অনুভব করে যা ক্যাচ-আপ বৃদ্ধি হিসাবে পরিচিত। এটি বাচ্চাদের প্রাথমিক বৃদ্ধির গতিপথ বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্কের মতো খনিজগুলি শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ 

পুষ্টির হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কীভাবে বৃদ্ধি সম্ভব

সঠিক পুষ্টি প্রদান করা শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি এবং বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে অল্প বয়স থেকেই পুষ্টির হস্তক্ষেপ অপরিহার্য। অপুষ্টিকে বোঝার এবং মোকাবেলা করার প্রয়োজন রয়েছে, যা অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ, পুষ্টির উপযোগী শোষণ, ব্যবহার থেকে হতে পারে। যে সমস্ত বাচ্চারা বৃদ্ধিতে পিছিয়ে পড়ছে তাদের চিকিত্সার জন্য একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

শিশুদের স্বাস্থ্যকর এবং সামগ্রিক বৃদ্ধিকে উত্সাহিত করা:  শিশুরা প্রায়শই প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয় থাকে, তাই তারা ক্ষুধার্ত থাকে। কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি কীভাবে আপনার সন্তানের বিকাশ করতে পারেন তার কয়েকটি উপায় রয়েছে:

১) সন্তানের বৃদ্ধিতে সাহায্য করার জন্য পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণ করাঃ ২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন, প্রতি তিন মাসে তাদের পরিমাপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পিতামাতারা একটি গ্রোথ ডায়েরি বেছে নিতে পারেন, যা শিশুর বৃদ্ধি বোঝার এবং ট্র্যাক করার জন্য সঠিক পরিমাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এটি বৃদ্ধির ঘাটতিগুলি দূরীকরণ সহ পিতামাতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং অন্তর্নিহিত কারণগুলিকে মোকাবেলা করতে সহায়তা করে৷

২) সঠিক খাওয়া:   শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন যাতে শস্য, ডাল, দুধ, মাংস, ফল, শাকসবজি থাকবে যাতে শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ থাকবে। শমীক ঘোষ, ডিসিএইচ, ডিএনবি, এমআরসিপি, এমআরসিপিসিএইচ, ভাগীরথী নেওটিয়া উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টার জানিয়েছেন, “ভোজনকারী পিতামাতাদের জন্য, সুষম খাদ্যের ওরাল নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন। বাচ্চাদের কেনাকাটা, খাবার পরিকল্পনা এবং রান্নায় নিযুক্ত করুন যাতে তারা যা প্রস্তুত করেছে তা খাওয়ার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে।

৩) ব্যায়াম:  স্ক্রিন টাইম কমাতে বাচ্চাদের খেলার নিয়ম তৈরি করুন। ছুটির দিনে, বাচ্চাদের একটি ‘গ্যাজেট-মুক্ত’ দিনে অনুপ্রাণিত করে এবং পুরো পরিবারের সাথে সময় কাটাতে উত্সাহিত করতে পারেন। এবং শিশুরা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ ঘন্টা ব্যায়াম করবে, যার মধ্যে সাঁতার কাটা, দৌড়ানো, হাঁটা বা নাচের মতো বিষয়গুলি যোগ থাকবে।

By Business Bureau

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *