প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেবশ্রী রায়, এই জুটিকে দর্শক যেমন পছন্দ করেছেন পর্দায় তেমনই পর্দার বাইরেও এই জুটি ছিল সমান জনপ্রিয়। তাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের পর বহু বছর কেটে গেলেও আজও তাদের নাম রয়েছে চর্চায়। বানিজ্যিক ছবি থেকে শুরু করে অন্যধারার ছবি, দেবীবরণ থেকে শুরু করে উনিশে এপ্রিল, এই জুটি ঝড় তুলেছিল বড় পর্দায়।
তাদের বিয়ের মেয়াদ বেশিদিনের না হলেও তাদের বন্ধুত্বের মেয়াদ দীর্ঘ। আজও টলিউডের কান পাতলে শোনা যায় দেবশ্রী রায়, তাপস পাল ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্বের গল্প। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের পরেই ছেদ পড়েছে এই বন্ধুত্বেও।
বিচ্ছেদের পর থেকে একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়া তো দূর, কথাও বলেননি এই দুই তারকা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তার আত্মজীবনী ‘বুম্বা শট রেডি’-তে লিখেছিলেন দেবশ্রী রায় ও তাপস পালের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের কথা। লিখেছিলেন দেবশ্রীর সঙ্গে তার প্রথম প্রেম ও বিয়ের কথা। ১৯৯২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন দুই তারকা। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, ১৯৯৫ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন তারকা দম্পতি।
বিচ্ছেদের পর নিজের আত্মজীবনীতে প্রথমবার সেই সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে লিখেছিলেন প্রসেনজিৎ। সম্প্রতি ‘কাছের মানুষ’ ছবির প্রচারে প্রসেনজিৎ বলেন যে, বিচ্ছেদের পর কীভাবে হতাশায় ডুবে নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেছিলেন সুপারস্টার।
দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তার দ্বিতীয় স্ত্রী অপর্ণা গুহ ঠাকুরতা, তাদের মেয়ের নাম প্রেরণা চট্টোপাধ্যায়। তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন অভিনেতা। ২০০২ সালে সম্পর্কে ইতি টানেন তারা। এর পর অর্পিতা পালের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেতা। অর্পিতা ও ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিয়ে এখন সুপারস্টারের সুখের সংসার। সম্প্রতি তার আগামী ছবি ‘কাছের মানুষ’-এর প্রচারে তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসেনজিৎকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যদি অতীতে ফিরতে পারতেন কোনো সম্পর্ক ঠিক করতে পারতেন তাহলে কোন সম্পর্কটা তিনি ঠিক করতেন? উত্তরে অভিনেতা বলেন, আমার জীবনে সম্পর্ক গড়েছে, ভেঙেছে। এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমার প্রথম স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে অনেকদিন কথা নেই, দেখাও নেই। দেখা হয়নি বলেই হয়তো কথা হয়নি। আমরা ছোটবেলার বন্ধু, আমি চাইব একবার দেখা করে বলতে যে, যাতে আমরা অন্তত বন্ধুত্বের জায়গায় চলে আসতে পারি।