বর্ষাকাল, গরমের প্রখর তাপ থেকে মুক্তি দিলেও, এই ঋতুতে বিভিন্ন ফাংগাল ইনফেকশন এবং অসুস্থতার সম্মুখীন হতে হয়। ফাংগাল ইনফেকশন সম্পর্কে মানুষের মনে চারটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, যেগুলি হল-
১) এই ধরণের অবস্থার চিকিত্সার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সেলফ-মেডিকেশন যথেষ্ট- শুধুমাত্র ঘরোয়া প্রতিকারের উপরে নির্ভর না করে রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২) ইনফেকশন সেরে গেলে, রোগীরা চিকিত্সা বন্ধ করতে পারেন, ৩) ফাংগাল সংক্রমণ শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে হয়- ভারতে গ্রীষ্মের মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরবর্তীকালে বর্ষাকালের আর্দ্রতা এবং স্যাঁতসেঁতে পরিস্থিতি ফাংগাল ইনফেক্শনের সংখ্যাকে ক্রমবর্ধমান আকর্ষিত করতে থাকে। ৪) শুধুমাত্র শিশুরাই ফাংগাল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়- সব বয়সী মানুষেরই ফাংগাল ইনফেকশন হতে পারে, এবং ১১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ইনফেকশনের হার সব থেকে বেশি পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কলকাতার ডা. সুকন্যা ব্যানার্জী ক্লিনিকের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুকন্যা ব্যানার্জী বলেছেন, “ভারতের উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ুর জন্য ফাংগাল ইনফেকশন অতি সাধারণ হয়ে উঠেছে। লোকেরা প্রতিনিয়ত এই সমস্যা গুলির সাথে লড়াই করার চেষ্টা করছে, এবং এই সময়ে অ্যান্টি-ফাংগালের সাথে লড়াই করার জন্য নতুন নতুন সেলফ-মেডিকেশন প্রোডাক্টের বৃদ্ধি হয়েছে। এই অবস্থার নিরাময়ের জন্য রোগীদের সঠিক ওষুধের জন্য ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা রোগীদের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।”
বর্ষাকালে এই ফাংগাল ইনফেক্শনগুলি প্রচুর পরিমানে হয়ে থাকে, তবে এই সমস্যাগুলোকে নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই এই ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে, ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য সঠিক সময়ে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অ্যাবট ইন্ডিয়ার মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর ডা. অশ্বিনী পাওয়ার বলেছেন, “কার্যকরভাবে ফাংগাল সংক্রমণের চিকিত্সা করার জন্য রোগীদের যথাযথভাবে ফাংগাল ইনফেকশন নিরাময়ের পরিকল্পনা করা দরকার। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স, যা সময়মত সম্পূর্ণ করলে রোগীরা সংক্রমণের থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।” ফাংগাল ইনফেকশনের ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, এবং নিজেকে এই অবস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।