পিডব্লিউসি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (পিডব্লিউসিআইএফ) দার্জিলিং-এর ৫০০ জন অনগ্রসর স্কুল ছাত্রীকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে নন্হী কালী প্রকল্পে সহায়তা করছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে পরিচালনা করছে কে.সি. মাহিন্দ্রা এডুকেশন ট্রাস্ট (কেসিএমইটি) এবং নন্দী ফাউন্ডেশন। প্রতি বছরই প্রকল্পের সাথে জড়িত অল্পবয়সী মেয়েদের জন্য কিট বিতরণ করে পিডব্লিউসিআইএফ। এইবছর পিডব্লিউসিআইএফ ইন্ডিয়ার চিফ অপারেশন অফিসার সত্যবতী বেরেরা এক অনুষ্ঠানে কালিম্পং-এ স্কুলের ব্যাগ, স্টেশনারি কিট, একটি পুলওভার/রেইনকোট এবং মাসিক স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত প্রোডাক্টগুলি হস্তান্তর করেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে, পিডব্লিউসি ১ থেকে ৫ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেয়। যাদের বেশিরভাগই তাদের পরিবারের প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী। প্রকল্পের লক্ষ্য হল ভারতে স্কুলের মেয়েদের মধ্যে ড্রপ আউটের হার কমানো। যেখানে তাদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জনের জন্য একটি সক্ষম ইকোসিস্টেম নিশ্চিত করা। ২০২০ সালে মহামারী চলাকালীন পিডব্লিউসিআইএফ মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং ধারণা-ভিত্তিক শিক্ষার অ্যাক্সেস সহ ১৬৬টি ডিজিটাল ট্যাবলেট বিতরণ করেছে। ডিজিটাল ট্যাবলেটগুলি মাইন্ডসপার্কের সাথে ইনস্টল করা হয়েছে। এটি একটি এআই-চালিত সফ্টওয়্যার। যা প্রতিটি মেয়ের শেখার স্তরের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং তাদের নিজস্ব গতিতে শিখতে সহায়তা করে। স্কুলের ছাত্রীদের জন্য ‘কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েটস’ নামে ১০৭ জন প্রশিক্ষিত মহিলা টিউটর রয়েছে। মেয়েদের গড় উপস্থিতি ২০২০-২১ সালে ৬৪% থেকে বেড়ে ২০২১-২২ সালে ৭২% হয়েছে।
সত্যবতী বেরেরা বলেছেন, “আমরা নন্হী কালী প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে পেরে এবং এই শিশুদের জন্য কিছু করতে পেরে খুবই গর্বিত, যাতে তারা মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সহায়তা পেতে পারে।”